স্মরণে নায়িকা কবরী

বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে কবরীর আজ চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। করোনাকালে ২০২১ সালের এই দিনে তিনি মারা যান।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের 'সুতরাং' দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর। সাদাকালো সেই ছবিতে মিষ্টি চেহারার সেই কবরী অসামান্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
১৯৬৫ সালে অভিনয় করেন 'জলছবি' ও 'বাহানা'য়; ১৯৬৮ সালে 'সাত ভাই চম্পা','আবির্ভাব','বাঁশরি','যে আগুনে পুড়ি'। ১৯৭০ সালে 'দীপ নেভে নাই','দর্পচূর্ণ,'ক খ গ ঘ ঙ','বিনিময়' ছবিতে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি হয়ে পাড়ি জমান ভারতে। কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দেশ স্বাধীনের পর আবারও চলচ্চিত্রে ফেরেন কবরী। শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত 'তিতাস একটি নদীর নাম' সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে 'রংবাজ' পায় বিশেষ জনপ্রিয়তা।
১৯৭৫ সালে নায়ক ফারুকের সঙ্গে 'সুজন সখী' ছাড়িয়ে যায় আগের সব জনপ্রিয়তাকে। এরপর কেবলই এগিয়ে চলা। জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে 'আগন্তুক','নীল আকাশের নিচে','ময়নামতি','সারেং বৌ','দেবদাস', 'হীরামন','চোরাবালি','পারুলের সংসার'। ৫০ বছরের বেশি সময় চলচ্চিত্রে রাজ্জাক,ফারুক,সোহেল রানা,উজ্জ্বল,জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী।
তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনায়ও যুক্ত ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Comments