'আমার সবথেকে বড় ইচ্ছে হলো নিজ দেশের হয়ে খেলা'

গত বছর জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় নীরব ছিলেন বাংলাদেশ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার এমন নীরব ভূমিকা দেখে সমর্থকরা বেজায় চটেছেন। গণঅভ্যুত্থানের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি সাকিব। এমনকি, এরপর আর দেশেই ফিরতে পারেননি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সংসদ সদস্য। তবে এখনও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান সাকিব। আর বাংলাদেশেই অবসর নিতে চান ৩৮ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশের এক ইংরেজি দৈনিক পত্রিকাকে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সাকিব। সেখানে নিজের ইচ্ছার কথাও জানান বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
বাংলাদেশের এক ইংরেজি দৈনিক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, 'আমি এখনও চাই বাংলাদেশের হয়ে খেলেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে। যদি কখনও সুযোগ হয়, তাহলে ১-২টি সিরিজ কিংবা আরও ১ বছর খেলার পরিকল্পনা করবো। আমার সবথেকে বড় ইচ্ছে হলো, আমার দেশের হয়ে খেলা। এই ইচ্ছে পূরণের জন্যই আমি কাজ করছি এবং সবটুকু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলছি।'
বাংলাদেশ এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, 'আপনি আমাকে গত ১৮ বছরের ক্রিকেট দিয়ে বিচার করবেন নাকি ছয় মাস দিয়ে বিচার করবেন সেটা আপনার বিষয়। তবে আমি মনে করি, আমার বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা প্রাপ্য। বেশিরভাগ মানুষ চায় আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলেই অবসর নিই। আমিও বিশ্বাস করি যে আর এক বা দুই বছর আমি খেলতে পারব।'
এদিকে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় তৎকালীন সরকার গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন কানাডায় পরিবারের সঙ্গে সাফারি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয় যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব। তখন বেশ খোশমেজাজে সময় কাটালেও বর্তমানে তা নিয়ে আফসোস হয় বলে জানিয়েছেন সাকিব।
তিনি বলেন, 'সত্যি বলতে, আমি তখন বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। আমি নিজে এটি পোস্ট করিনি। তবুও, আমি এর দায়ভার নিচ্ছি। এটা একটা পূর্বপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণ ছিল। এখন বুঝতে পারছি, হ্যাঁ, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমি এটা স্বীকার করছি। তবে আমার মনোযোগ সব সময় ক্রিকেটের দিকে ছিল। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে এবং পরেও। আমাকে কখনও রাজনীতিতে জড়িত হতে বলা হয়নি। আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, "শুধু ক্রিকেট খেলো।" তাই আমি সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছি।'
বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। দেশের হয়ে তার খেলার ইচ্ছা আদৌ পূরণ হবে কি না তা সময়ই বলে দিবে।
Comments