সাবিনাদের জন্য বাফুফের বিশাল সুখবর

পাঁচ বছর আগে কাঠমান্ডু এসএ গেমসে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল অংশ নিলেও মেয়েরা যেতে পারেনি। তবে পাকিস্তানে আসন্ন এসএ গেমসে পুরুষদের পাশাপাশি নারী দলও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। রোববার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) দলীয় ডিসিপ্লিনগুলোর কর্মকর্তাদের এক সভায় বাফুফে তাদের অবস্থান জানায়।
বিওএ'র কোষাধ্যক্ষ ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব একে সরকার বলেন, 'বাফুফে এবার দুটি দলই পাঠাতে চায়। নারী ফুটবল দল টানা দুবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছে। আমরা গেমসেও তাদের কাছ থেকে স্বর্ণপদক আশা করব।' এর আগে ২০১৯ সালে নেপালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দল গেলেও নারীরা সেবার এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি।
১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ফুটবলে এক বারই স্বর্ণ জিতেছিল ১৯৯৯ কাঠমান্ডু গেমসে। ২০১৯ সালে সেই কাঠমান্ডুতে জামাল ভুইয়ারা ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালের গেমসে সাবিনারা খেলতে না পারলেও শিলং গেমসে খেলেছিলেন। বাফুফের সাবেক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির সিদ্ধান্তেই মূলত সাবিনাদের সেই গেমসে খেলা হয়নি।
গতকাল বিওএ ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, ভলিবল, হ্যান্ডবল, রাগবি ও বাস্কেটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। অন্য সাত ফেডারেশনের কর্মকর্তা থাকলেও দুই শীর্ষ ফেডারেশন বাফুফে ও বিসিবি একজন এক্সিকিউটিভ পাঠিয়েছে। মিটিংয়ে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স বিভাগের ম্যানেজার জামাল বাবু বলেন, 'গত আসরে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই আমাদের স্বর্ণ ছিল। এবারও সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি থাকবে। আমরা বিওএ'র কাছে অনুরোধ করেছি কোচিং স্টাফের সংখ্যা যেন বৃদ্ধি করা হয়।'
বিসিবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বাফুফেও কোচিং স্টাফের পাশাপাশি খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে চূড়ান্ত স্কোয়াড ২৩ জনের হলেও গেমসে সেটা হয় ২০ জনের। তাই এবার স্কোয়াডের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তাগিদ দেয় বাফুফে।
আগামী বছর ২৩ থেকে ৩১শে জানুয়ারি পাকিস্তানে এসএ গেমস আয়োজনের সূচি নির্ধারিত করা হয়। গেমসের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন দুই ধাপে ২৫ ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ফেডারেশনগুলোর প্রস্তাব আগামী ২৩শে এপ্রিল বিওএ নির্বাহী কমিটির সভায় পর্যালোচনা হবে। সেই সভার পর বিওএ সরকারের কাছে বাজেট ও গেমসের ভেন্যু সংক্রান্ত সহায়তা চাইবে।
Comments