ইউএসএআইডি সন্ত্রাসী সংগঠন: ইলন মাস্ক
আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক। তিনি বলেছেন, সংগঠনটি মার্কিন জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে, প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য অর্থ ব্যয় করেছে। তিনি আরও বলেছেন, সংস্থাটির মরে যাওয়াই ভালো।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পৃথক তিনটি টুইটে বলেছেন, 'আপনারা জানেন কী, ইউএসএআইডি আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন।'
অপর এক টুইটে ইলন মাস্ক মাইক বেঞ্জের একটি টুইট শেয়ার করে বলেন, 'ইউএসএআইডি তাদের প্রোপাগান্ডা প্রচারের জন্য গণমাধ্যমগুলোকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে।'
এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সংস্থার দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানোর প্রতিবেদন সামনে এসেছে। অভিযোগ, তাঁরা মাস্কের প্রতিনিধিদের গোপন নথি দেখতে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
এর আগে, গত সোমবার ইলন মাস্ক ইউএসএআইডিকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে অভিহিত করেন। জানা গেছে, সংস্থাটির সদর দপ্তরে সংরক্ষিত এলাকাগুলোতে মাস্কের ব্যয় সংকোচন বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্যদের প্রবেশাধিকার দিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বাধা দেন। এর পরপরই মাস্ক লিখেন, 'এখন এটির মরে যাওয়ার সময় হয়েছে।'
এদিকে, ইউএসএআইডির নিরাপত্তা পরিচালক জন ভরহিস এবং তাঁর সহকারী ব্রায়ান ম্যাকগিলকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিওজিই-এর কর্মীদের নিরাপত্তা অনুমোদন না থাকার কারণে তারা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে দেননি। তবে, একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে তৈরি হলেও সরকারি কোনো বিভাগ নয়। সরকারি সংস্থার সদস্যরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের সুযোগ পান। পরে অবশ্য ডিওজিই-এর সদস্যদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং অবশ্য বলেছেন, ডিওজিই-এর কর্মীরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেননি এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে 'ভুয়া সংবাদ' ও 'নির্জলা মিথ্যা' বলে উড়িয়ে দেন। এক্সে শেয়ার করা পোস্টে চিউং বলেন, 'গণমাধ্যম কতটা অসতর্ক ও অবিশ্বাসযোগ্য, এটি তারই প্রমাণ।' তবে ডিওজিইতে কর্মরত ক্যাটি মিলার এক্সে লিখেছেন, 'যথাযথ নিরাপত্তা অনুমোদন নিয়ে কোনো গোপন নথির এলাকায় প্রবেশ করা হয়েছিল।'
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল এইডের (ইউএসএআইডি) অফিশিয়াল ওয়েবসাইটও এবার বন্ধ হয়ে গেছে। গত শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চেষ্টা করেও ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করা যায়নি। এমনকি ইউএসএআইডির এক্স অ্যাকাউন্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Comments