টানা পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ হারলো বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে শুধু তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়া আর কোনো ক্ষেত্রেই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি টিম টাইগার্স। বাংলাদেশকে ২০১ রানের বড় ব্যবধানে হারালো স্বাগতিকরা।
৩৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩২ রানে থেমেছে টাইগারদের ইনিংস। কাঁধে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন শরিফুল। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা জাস্টিন গ্রিভস।
চতুর্থদিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। শেষদিন বাংলাদেশের যেখানে প্রয়োজন ২২৫ রান, সেখানে ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেট। লড়াই তো দূরের কথা, এদিন টাইগারদের ইনিংস স্থায়ী হয়েছে মাত্র ৭ ওভার।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার জাকের আলি ও হাসান মাহমুদ নেমেছিলেন ব্যাট হাতে। তবে রানের খাতা খোলার আগেই হাসানকে বিদায় করেন আলজারি জোসেফ।
এরপর একই পথ ধরেন জাকের আলি। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে, জোসেফের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বাংলাদেশ ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৩১ রান।
ক্রিজে এসেই আলজারি জোসেফের বাউন্সারে কাঁধে আঘাত পান শরিফুল ইসলাম। কিন্তু, এরপরও এক ওভার ১ বল উইকেটে থিতু হয়েছিলেন শরিফুল। তবে ফিজিওর পরামর্শে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হোন।
৫ টেস্ট পর জয়ের স্বাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর সমান সংখ্যক ম্যাচে টানা হারের বৃত্তে বাংলাদেশ। এবার জ্যামাইকায় সিরিজ বাঁচানোর মিশন টাইগারদের। ৩০ নভেম্বর শুরু দ্বিতীয় টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ