যে কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়
চাঁদ যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে ঠিক তেমন ভাবেই পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে। আর এইভাবে ঘুরতে ঘুরতে একটা সময় চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে।
যখন এই সরলরেখায় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মাঝে চলে আসে, তখন সূর্যের আলো পৃথিবীর কারণে চাঁদে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। আর চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। চাঁদ সূর্যের আলোয় নিজেকে আলোকিত করে।
কিন্তু পৃথিবীর বাধার কারণে চাঁদ যখন সূর্যের আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে ব্যর্থ হয়, তখন কিছু সময়ের জন্য চাঁদকে অদৃশ্য মনে হয়। এ পর্যায়টিকে সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
চন্দ্রগ্রহণ প্রধানত ৩ ধরনের হয়ে থাকে-
১. পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ
২. আংশিক চন্দ্রগ্রহণ
৩. পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ
পৃথিবী যখন সূর্যকে আংশিক ঢেকে ফেলে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদের কিছু অংশ অদৃশ্য হয়ে যায় আর তখন তাকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
আর পৃথিবী যখন সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে নেয়, তখন বিপরীত স্থানে অবস্থান করা চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না, একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলে।
অন্যদিকে চাঁদ যখন পৃথিবীর ছায়ার দূরবর্তী স্থান দিয়ে অতিক্রম করে, তখন তাকে পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। এই ধরনের চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ খুব কম পরিমাণে অস্পষ্ট হয়ে থাকে, যার ফলে তা আমাদের চোখে খুব কম ধরা পড়ে।
চাঁদের তুলনায় পৃথিবীর ব্যাস অনেক বেশি হওয়ায় পৃথিবীর ওই ব্যাসের পথ অতিক্রম করতে পৃথিবীর তুলনায় অধিকতর ছোট চাঁদের অনেকটা সময় লাগে। এই জন্য সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব কয়েক মিনিট হলেও চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে।