গণভবনের প্রতিবাদী গ্রাফিতি ঘুরে দেখলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গণভবন থেকে পালিয়ে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার বসবাস করা গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। এটি জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরের জন্য কাজ শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (২৮ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্যকে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন গণভবন।
সেখানে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় বিক্ষোভকারীদের গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে আঁকা প্রতিবাদী গ্রাফিতি ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রতিবাদী যে নোট লিখেছেন তা ঘুরে ঘুরে দেখেন প্রধান উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কয়েক মুহূর্তের পর ৫ আগস্ট গণভবনে বিপুল পরিমাণ বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে এবং খুনি হাসিনা (খুনী হাসিনা) এর মতো প্রতিবাদ নোট লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, উপদেষ্টাদের জাদুঘর করা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আয়নাঘর (আয়নাঘর) যেখানে হাসিনার সময়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী কর্মীকে আটক করেছিল তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত।
এসময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া হাসিনা শাসনের অপকর্মগুলো জাদুঘরে যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা হবে। যে তারা কীভাবে তাদের বিপ্লব এবং বিদ্রোহের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছে তা খুঁজে বের করার জন্য তারা অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হচ্ছে বলেও জানান। সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।