মুখ খুললেন সমালোচনা ও ট্রলের শিকার হওয়া নুসরাত ফারিয়া
দেশের বিনোদন দুনিয়ার পরিচিত মুখ নুসরাত ফারিয়া। মডেলিং আর সিনেমা নিয়েই ব্যস্ততা তার। তবে বেশকিছুদিন নতুন কাজের সঙ্গে যুক্ত হননি অভিনেত্রী। তাকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ট্রল করেছেন এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। ১০ জুলাই শো করতে কানাডা গিয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। সেখান থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭ আগস্ট।
দেশে ফিরলেও প্রায় তিন মাসের মতো শুটিং সেটে যাওয়া হয়নি নুসরাত ফারিয়ার। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের কাছে নুসরাত ফারিয়ার বক্তব্য বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, 'ক্যারিয়ার শুরুর পর এত দীর্ঘ সময় শুটিং সেটের বাইরে থাকিনি। দেশে যখনই কিছু হয় সবার আগে প্রতিক্রিয়াটা পড়ে বিনোদন অঙ্গনের ওপর। আমাদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা বাদই দিলাম; যারা লাইট, ক্যামেরা, প্রডাকশনে কাজ করে কিংবা যারা দিন চুক্তিতে কাজ করে তাদের কথা ভাবুন। তারা কেউ ভালো আছে বলে মনে হয় না। বর্তমান সরকারের এদিকটায় নজর দেয়া উচিত। সাধারণ শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করলে অন্তত পরিবার নিয়ে তারা বেঁচে থাকতে পারবে।'
দেশের পটপরিবর্তনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে ট্রল হয়েছে অনেক। যা অব্যাহত রয়েছে এখনও। এ প্রসঙ্গে ফারিয়া বলেন, 'কাকে কী বলবো। আমার ক্যারিয়ার ১২ বছরের। ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখেছি। তারা যখন যে ধরনের কাজে ডেকেছে সাড়া দিয়েছি। আসলে আমি তো এখানে টাইম পাসের জন্য আসিনি। এটা রুটি-রুজির জায়গা। কাজের প্রস্তাব এলে করবো, এটাই তো নিয়ম। এখন কেউ যদি আমাকে আওয়ামী সমর্থক ভেবে দূরে ঠেলে দেন, কী করতে পারি?'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা শিল্পী, আমাদের কাজ মানুষকে বিনোদন দেয়া। সেটাই করে গেছি। কখনও কারও অন্ধ সমর্থক ছিলাম না। যদি সেটা করতাম, মনে সামান্যতম সংকীর্ণতা থাকত, দেশেই আসতাম না। এখন যদি নতুন সরকার তাদের কাজে আমাকে ডাকে, অবশ্যই সাড়া দেবো। ওই যে বললাম, শিল্পীদের কাজ দলাদলি করা নয়, নিজের অভিনয়শৈলী দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নেয়া।'
এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আমি রাজনীতির মানুষ নই। বিচক্ষণতার সঙ্গে তাই বলতেও পারব না। দেশের ছাত্র-জনতা চেয়েছিল বলেই তো পরিবর্তনটা এসেছে। একজন নাগরিক হিসেবে চাইব, যেটা হয়েছে সেটা যেন মঙ্গলের জন্য হয়। আমার বিশ্বাস, মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর পাশাপাশি বিনোদনও যেন হারানো গৌরব ফিরে পায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে বর্তমান সরকার।'