মরণ ফাঁদে রুপান্তরিত হয়েছে রাস্তা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

চাঁদপুরের হাইমচরে পুরাতন ডিগ্রী কলেজ থেকে কালাচকিদার মোড় হয়ে হাওলাদার বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে রূপান্তর হয়েছে। চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
১৪ জুলাই সোমবার সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার প্রাচীন এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় বড় বড় গর্তে রূপ নিয়েছে । বৃষ্টির পানি জমে গর্তগুলো ডুবে থাকায় যানবাহন চালক, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা প্রতিদিনই পড়ছে দুর্ঘটনায়।
পথচারী, বিল্লাল, ফজলু, মাসুম সহ আরো অনেকেই বলেন, বহু বছর ধরে মেরামত না হওয়ায় এই রাস্তাটি বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। বর্ষা আসায় বৃষ্টির পানি জমে গর্তগুলো পানিতে ডুবে থাকায় অনুমান করা জানা এর গভীরতা কতটুকু তাই রিক্সা, অটোরিকশা সহ ছোট ছোট যানবাহন গর্তের মধ্যে পড়ে উল্টে যায় এতে করে প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ আহত হচ্ছে। এই ৪ কিলোমিটার রাস্তায় বেশ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে এই রাস্তা পার হতে হয়। পূর্বে এ রাস্তার গর্তে পড়ে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। সহসায় এর রাস্তাটি মেরামত করা না হলে, রোড এক্সিডেন্টে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
শিক্ষার্থী নাবিলা, সোহান, নাঈম সহ আরো অনেকে বলেন, শুকনো মৌসুমের ধুলোবালির যন্ত্রণায় অতিষ্ট ছিলাম। এখন বর্ষা আসায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় রাস্তার গভীরতা অনুমান করতে না পারায় পানিতে পড়ে বই খাতা ভিজে যাচ্ছে অনেকের। মাঝে মাঝে এত বড় গর্ত দেখা দিয়েছে, পানিতে পড়লে পুরো শরীর ভিজে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। ড্রেস পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলেও পরের দিনে এই ড্রেস পরার আর উপায় থাকে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
স্থানীয়, দেলোয়ার, খলিলুর, মাজহারুল সহ আরো অনেকে বলেন, এই রাস্তাতে প্রতিদিনই কয়েকশ বালি ভর্তি পাহাড়টলি আসা-যাওয়া করে। শুকনো মৌসুমে ধুলবালী উড়তে থাকে এই রাস্তায়। বালুভর্তি পাহাড়ট্রলি চলার কারণে রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় বর্ষা আসতেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের পাশাপাশি বালুভর্তি পাহাড়টুলি চলাচল বন্ধ না করলে পুনরায় এ রাস্তায় গর্ত দেখা দিবে। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি পাহাড়ট্রলি চলাচল বন্ধ করে, এই রাস্তাটি যেন দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হয়।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল হাসান বলেন, রাস্তাটি মেরামত করা অতি জরুরী তাই আমরা এ রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলেই আমরা রাস্তাটি মেরামত কাজ শুরু করবো।
Comments