চার দশকের সংঘাত শেষে তুরস্ক থেকে ইরাকে যাচ্ছে পিকেকে যোদ্ধারা
তুরস্কের সঙ্গে চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সব যোদ্ধাকে তুরস্কের ভূখণ্ড থেকে প্রত্যাহার করে উত্তর ইরাকে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) উত্তর ইরাকের কান্দিল অঞ্চল থেকে এক বিবৃতিতে কুর্দি পিকেকে এই প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
প্রায় চার দশকের সশস্ত্র সংঘাত শেষে মাসব্যাপী চলা পিকেকের নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হলো। দীর্ঘ এই সংঘাতের কারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ২৫ জন যোদ্ধার একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়, যারা তুরস্ক থেকে ইরাকে চলে এসেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) দলের একজন মুখপাত্র এক্স-পোস্টে বলেছেন, পিকেকে'র ঘোষণা 'সন্ত্রাসবাদমুক্ত তুর্কি প্রক্রিয়ার' কাঠামোর অংশ।
গত মে মাসে পিকেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ৪০ বছরের সশস্ত্র সংগ্রাম প্রত্যাখ্যান করেছিল। এখন তারা সশস্ত্র বিদ্রোহ থেকে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য হলো, কুর্দি সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য গণতান্ত্রিক লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
পিকেকে তুরস্ক সরকারের প্রতি অবিলম্বে আইনি ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে পিকেকে উত্তর ইরাকের পাহাড়ি এলাকায় প্রতীকীভাবে এক দফা অস্ত্র ধ্বংসের আয়োজন করেছিল। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এটিকে 'একটি অপরিবর্তনীয় মোড়' হিসেবে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এরদোয়ান বলেছিলেন, 'আজ একটি নতুন দিন, ইতিহাসে একটি নতুন পাতা খুলেছে। আজ এক মহান, শক্তিশালী তুরস্কের দরজাগুলো প্রশস্তভাবে খুলে দেওয়া হলো।'
Comments