কাশ্মীরে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের হিমালয়ের একটি পাহাড়ি গ্রামে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে দুইজন সিআইএসএফ জওয়ান রয়েছেন বলেও খবর মিলেছে। ইতোমধ্যে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৬৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৩৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হিমালয়ের অন্যতম তীর্থস্থান মা চণ্ডীর মন্দির মাচাইল মাতা যাত্রার সময়কালে এই বিপর্যয় ঘটে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিপদের সময়ে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন অমিত শাহ।
কিস্তওয়ার থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে ৯ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত চাসোটি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকেই সাড়ে ৯ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় মন্দিরে। পূণ্যার্থীদের ওই স্থানে একটি অস্থায়ী লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিল, সেটি একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে। উধমপুর থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি টিম কিস্তওয়ার গেছে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে। ডাক্তার ও ওষুধপত্র নিয়ে মেডিকেল টিমও বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছেছে।
জেলার পাড্ডার চাসোটি এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে বিপর্যয়টি ঘটে। তখন সেখানে বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। সেখান থেকেই হেঁটে মন্দিরে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। হড়পা বানে স্থানীয় একটি লঙ্গরখানা ভেসে গেছে। যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও হিসাবের বাইরে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়ার, কুপওয়ারা, বারামুল্লা, বন্দিপুরা, শ্রীনগর, গান্ডেরবাল, বদগাঁও ছাড়াও পুঞ্চ, রাজৌরি, রিয়াসি, উধমপুর, জম্মু, ডোডায় আগামী কয়েক ঘণ্টা ধরে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে। এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় আকাশ ভেঙে বৃষ্টিতে হড়পা বান ও ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং পরিস্থিতি যে খারাপের পথে তা অনুমান করাই যায়।
Comments