দ্বিতীয়বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাইল্যান্ডের, অস্বীকার কম্বোডিয়ার

বিতর্কিত সীমান্তের তিনটি পৃথক স্থানে বুধবার (৩০ জুলাই) কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী। থাই বাহিনী সতর্ক করেছে, অব্যাহত আগ্রাসন থাই বাহিনীকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করতে পারে।
পাঁচ দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর গত সোমবার মধ্যরাতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিতে উভয় সরকার সম্মত হওয়ার দুই দিনেরও কম সময়ের মধ্যে দুইবার এই অভিযোগ উঠল। তবে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
থাইল্যান্ড জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের সিসাকেট প্রদেশে কম্বোডিয়ান বাহিনী তাদের অবস্থানগুলোতে গুলি চালিয়েছে।
থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর-জেনারেল উইনথাই সুভারি সাংবাদিকদের বলেন, কম্বোডিয়ান বাহিনী ছোট অস্ত্র এবং গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করেছে, যার ফলে থাইল্যান্ড আত্মরক্ষায় পাল্টা জবাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'চুক্তির পর এটি ছিল দ্বিতীয় ঘটনা এবং এটি এমন একটি আচরণকে প্রতিফলিত করে, যা চুক্তিগুলোকে সম্মান করে না। এটি উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে এবং দুই দেশের মধ্যে আস্থাকে ব্যাহত করে।'
কম্বোডিয়া অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চুম সাউরি এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, 'কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগকে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং ভঙ্গুর আস্থা তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকারক বলে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।'
রয়টার্স জানিয়েছে, দুই দেশের সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। উভয় পক্ষের ৩ লাখেরও বেশি বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি উভয় দেশের নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার বাণিজ্য দলকে শুল্ক আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।
Comments