থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘাত, অর্থনৈতিক প্রভাব কী?

কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক বিশ্লেষক আরনাউড ডার্কের সাথে কথা বলেছে আলজাজিরা। আলোচনায় এই সংকটের অর্থনৈতিক পরিণতি এবং কোন কোন খাতগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সে সম্পর্কে কথা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সংবাদমাধ্যমটি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আরনাউড ডার্ক বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বহুমাত্রিক সংকট তৈরি হচ্ছে। এখন এটি কীভাবে কূটনীতির বাইরে চলে গেছে তা নিয়ে আমরা বিশ্লেষণ করছি। কারণ, সামরিক সংঘাতে অর্থনৈতিক পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
কম্বোডিয়া প্রতি বছর থাইল্যান্ড থেকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পণ্য আমদানি করে। ডার্ক বলেন, সীমান্ত বন্ধের ফলে বাণিজ্যে তীব্র ব্যাঘাত ঘটছে। যার ফলে হয় বিলম্ব হচ্ছে অথবা প্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল, অটো যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য আমদানির উচ্চ মূল্যে রুট পরিবর্তন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কম্বোডিয়ার মূল পর্যটন খাতও বিঘ্নিত হয়েছে।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, এই বছরের শুরুতে মে মাস পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় বিদেশি পর্যটকদের প্রায় ৩০ শতাংশ থাই নাগরিক ছিলেন। জুন থেকে আগমন ৮০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো থাইল্যান্ডে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা বলেছি, বহির্বিশ্বের সব দেশ থেকে কম্বোডিয়ার পণ্য বা পর্যটন স্পটে আগমনের জন্য অনলাইন অনুসন্ধানের আগ্রহ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বখ্যাত মন্দির শহর সিম রিপে বুকিং বাতিলকরণ বাড়ছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী শহর পোয়েপেটে এখন ক্যাসিনোগুলো খালি। জ্বালানির দাম বাড়ছে, কারখানাগুলো শিফট কমিয়ে দিচ্ছে। অনানুষ্ঠানিক ব্যবসায়ীরা এবং বিশেষ করে নারী ও অভিবাসী শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা এখানে যা দেখছি তা সত্যিই গুরুতর।
ডার্ক উল্লেখ করেন, সরবরাহ শৃঙ্খলগুলো অন্যদিকে অভিযোজিত হচ্ছে। পণ্য চলাচল রুট পরিবর্তন হয়ে লাওস ও সমুদ্রের মধ্য দিয়ে নির্ধারণ করা হচ্ছে। ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো অন্যান্য বাজারের দিকে ঝুঁকছে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীরা। আমরা সমাধান খুঁজছি। কিন্তু তার আগেই সংঘাতের একটি মূল্য দিতে হচ্ছে।
Comments