মিশরকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মিশর সরকারের কাছে ৪.৬৭ বিলিয়ন ডলারের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্যাকেজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পেন্টাগন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই প্যাকেজে রাডার সিস্টেম, শত শত ক্ষেপণাস্ত্র, লজিস্টিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম (এনএএসএএমএস) প্যাকেজের আওতায় থাকছে—চারটি এন/এমপিকিউ-৬৪ সেনটিনেল রাডার সিস্টেম, শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ডজনখানেক গাইডেন্স ইউনিট।
এনএএসএএমএস হলো—যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ের যৌথভাবে উন্নয়নকৃত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইল প্রতিহত করতে সক্ষম।
এই প্রস্তাবিত বিক্রয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ন্যাটো সদস্যের বাইরে অন্যতম মার্কিন মিত্র মিশরের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কাজ করবে এই সমরাস্ত্র। পাশাপাশি এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে।
এই অস্ত্র বিক্রির প্রধান ঠিকাদার হবে বহুজাতিক বিমান ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থা ম্যাসাচুসেটস ভিত্তিক আরটিএক্স করপোরেশন। ডিএসসিএ জানিয়েছে, এই বিক্রয় অনুমোদনের বিষয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকে প্রয়োজনীয় অনুমোদনপত্র পাঠিয়েছে।
এটি অনুমোদিত হলে, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত ও সরবরাহ সহায়তা প্রদানের জন্য প্রায় ২৬ জন মার্কিন সরকারি কর্মচারী এবং ৩৪ জন ঠিকাদার মিশরে ভ্রমণ করবেন। মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের মার্কিন মিত্র কায়রো, ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ওয়াশিংটন থেকে প্রতিরক্ষা সহায়তা পেয়ে আসছে।
তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিশর এবং চীনের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, যার মধ্যে এই বছরের এপ্রিল এবং মে মাসে অনুষ্ঠিত দেশগুলোর প্রথম যৌথ সামরিক মহড়াও অন্তর্ভুক্ত। এটি 'ঈগলস অফ সিভিলাইজেশন ২০২৫' নামে পরিচিত। এর আওতায় দেশগুলোর বিমান বাহিনী দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে।
Comments