কঙ্গনার আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

বলিউড অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাওয়াত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন। এবার একটি মামলা কেন্দ্র করে তাকে নিয়ে কথা চলছে। ২০২০-২১ সালের কৃষক আন্দোলন নিয়ে করা এক টুইটকে কেন্দ্র করে অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলা চলবে বলে রায় দিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।
বলিউড হাঙ্গামা থেকে জানা যায় শুক্রবার (২ আগস্ট) বিচারপতি ত্রিভুবন দাহিয়ার বেঞ্চ কঙ্গনার দায়ের করা ফৌজদারি আবেদন খারিজ করে দেন। বাথিন্ডার আদালত এর আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল। কঙ্গনার আইনজীবীরা ওই মামলাটি ও সমন আদেশটি বাতিলের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট বলেছে, মামলাটি চালিয়ে নেয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।
মূল ঘটনা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল কঙ্গনার একটি রিটুইট নিয়ে, যেখানে তিনি আন্দোলনরত এক বৃদ্ধাকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, হা হা হা, উনি সেই দাদি, যিনি টাইম ম্যাগাজিনে ভারতের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে উঠে এসেছিলেন... আর উনি ১০০ টাকায় ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানি সাংবাদিকরা ভারতের আন্তর্জাতিক জনসংযোগকে লজ্জাজনকভাবে হাইজ্যাক করেছে। আমাদের উচিত আন্তর্জাতিকভাবে নিজেরাই নিজেদের পক্ষে কথা বলা।
বিচারপতি দাহিয়া রায়ে উল্লেখ করেন, একজন সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে, তার রিটুইটে মিথ্যা ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে, যা বাদীর মানহানি ঘটিয়েছে, নিজের চোখেও এবং অন্যের চোখেও। তাই বাদীর পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করাকে খারাপ উদ্দেশ্যপ্রসূত বলা যায় না।
আদালত আরও জানিয়েছে, বাথিন্ডার ম্যাজিস্ট্রেট যে সমন জারি করেছেন, তা যথাযথভাবে তথ্য ও আইনি দিক বিবেচনায় নিয়েই করেছেন। কঙ্গনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, তিনি ওই পোস্টটি 'সৎ উদ্দেশ্যে এবং জনস্বার্থে' করেছেন, যার পেছনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না। তবে আদালত এই যুক্তি নাকচ করে দেয় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারার নবম ও দশম ব্যতিক্রম যা 'সৎ উদ্দেশ্যে প্রকাশিত মন্তব্য' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে তাতে কঙ্গনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত নন বলে জানায়।
অন্যদিকে, আদালত জানায় যে, কঙ্গনা কখনও ক্ষমা চাননি বা ভুল স্বীকার করেননি, যদিও পরবর্তীতে জানানো হয়েছিল, যাকে তিনি 'টাইম ম্যাগাজিনে জায়গা পাওয়া দাদি' বলে উল্লেখ করেছেন, তিনি আদৌ সেই ব্যক্তি নন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাথিন্ডার ম্যাজিস্ট্রেট প্রাথমিক সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির একটি প্রাথমিক অভিযোগ গৃহীত হয়েছে বলে সমন জারি করেন। হাইকোর্টও সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে।
Comments