রোম্যান্টিক সিনেমায় অভিনয় করতে অনিচ্ছুক ছিলেন শাহরুখ
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া রোম্যান্টিক ঘরানার ছবি 'জিরো' বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর বলিপাড়া দীর্ঘ চার বছরের বিরতি নিয়েছিলেন শাহরুখ খান। এরপর ২০২৩-এ তুফান তুলে ঐতিহাসিক কামব্যাক।
এক বছরেই 'পাঠান', 'জওয়ান', 'ডাঙ্কি' তিন তিনটি সিনেমা মুক্তি দিয়েছিলেন শাহরুখ। তিন সিনেমাই হলো সুপারহিট। যার মধ্যে দুইটা ব্লকব্লাস্টারের তকমা। সেই দুই সিনেমাই ছিল ভরপুর অ্যাকশনে ঠাসা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক নিখিল আদবানি জানালেন, নিজের ফিল্মি ক্যারিয়ারে প্রথম থেকেই অ্যাকশন ছবিতে অভিনয় করতে চাইতেন 'কিং খান'। প্রেমের ছবিতে অভিনয় করা ছিল অপছন্দের একটি বিষয়।
শাহরুখের 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়', 'মহব্বতে', 'কভি খুশি কভি ঘম'-এর মতো সব আকাশছোয়া সাফল্যের ছবিতে প্রধান সহকারী পরিচালকের কাজ করেছিলেন নিখিল। এরপর শাহরুখকে নিয়ে পরিচালনা করেছেন 'কাল হো না হো'।
সোজা কথায়, শাহরুখকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন তিনি। সেই নিখিল বললেন, বহুবার আড্ডায় শাহরুখ আমাকে বলেছে, একটু অন্য ধরনের ছবি করো না। কারণ এই আদিত্য চোপড়া এবং করণ জোহর তো শুধু প্রেমের ছবিই বানিয়ে যায়।
নিখিল আদবানি আরও জানান, এটা শুনতে অদ্ভুত লাগবে যে শাহরুখকে 'কিং অফ রোম্যান্স' বলা হয়, তারই খোদ অপছন্দ প্রেমের ছবিতে অভিনয় করা।
এই পরিচালক জানান, 'দিল সে' খুব প্রিয় ছবি শাহরুখের। এই ছবিটা নিয়ে নাকি ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা মারতে পারেন অভিনেতা। 'হে রাম', 'রাম জানে', 'ডর'-ও তার প্রিয় ছবি তালিকার মধ্যে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নিখিল আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। সেটা 'কভি খুশি কভি ঘম'-এর শুটিংয়ের সময়। শাহরুখকে জানানো হয়েছিল ছবিতে তার এন্ট্রি নেওয়ার দৃশ্য থাকবে হেলিকপ্টার থেকে।
শোনামাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল 'বাদশা'। নিখিল আরও জানান, তবে শাহরুখ যখন জানতে পারেন, হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার পর স্রেফ মাটিতে তার পা রাখার দৃশ্যটাই টেক হবে সেটা শুনেই মুষড়ে পড়েন তিনি।
শাহরুখ ভেবেছিলেন হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ দেওয়ার মতো কোনও রোমহর্ষক স্টান্ট তাকে হয়তো করতে বলা হবে, তাই এত উত্তেজিত হয়ে পরেছিলেন- হাসতে হাসতে বলতে থাকেন 'কাল হো না হো' ছবির পরিচালক।