সূচকের মিশ্র প্রবনতায় লেনদেন বেড়েছে

বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতায় সূচকের নামমাত্র পতন হলেও লেনদেনে বড় অগ্রগতি হয়েছে। যার কারনে সূচকের পতনকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরা। গত সপ্তাহের ছয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকের ২৩০ পয়েন্ট উত্থান হয়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আস্থারই প্রতিফলন। যদিও গত দুই কর্মদিবসে সূচক ৬ পয়েন্টের বেশি কমেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পথে এই সমন্বয়কে কাঙ্খিত বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ সূচকের একটানা উর্ধ্বমুখী গতি বাজারের জন্য স্বাভাবিক নয়।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সূচকের উত্থান প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। দিনের প্রথম ভাগে ডিএসইএক্স সূচক ২৬ পয়েন্টের বেশি উঠে লেনদেন হয়, যা বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। যদিও পরবর্তীতে মুনাফা তোলার চাপে সূচকের তীর নিচের দিকে নামে। দিনশেষে প্রধান সূচক সামান্য ইতিবাচক থাকে। তবে বাকি দুই সূচক নেতিবাচক অবস্থানে ছিল।  

আজ ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে ৯০ কোটি টাকা বেড়েছে, যা বাজারে তারল্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুস্পষ্ট লক্ষণ। যখন লেনদেন বাড়ে, তখন বাজারের গভীরতা বাড়ার পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগকারদের আকৃষ্ট করে।

আজ সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬২.২০ পয়েন্টে। আজ অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ১.৫৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০২.৪৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৯.০৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৯০.৯২ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৬৩টির দর বেড়েছে, ১৫৬টির দর কমেছে এবং ৭৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে আজ মোট ৬৫৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ১৪ জুলাই লেনদেন হয়েছিল ৫৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৮৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ৭৭ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়ে ওষুধ ও রসায়ন খাত লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ৯৯টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩০টির।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫.৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯১.৫৭ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক ২.৭৩পয়েন্ট কমে দাড়ায় ৮ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে।