সপ্তাহের দ্বিতীয়দিনে ইতিবাচক গতি ফিরেছে

আগেরদিন পুঁজিবাজারে বড় পতনের পর আজ সোমবার (২৩ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেলেও শেষভাগে উত্থানের দিকে মোড় নেয়। যদিও বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়, আজকের সূচকের উত্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। তবে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণগুলো আগামী দিনগুলোতে বাজারের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

দিনশেষে প্রধান সূচক সাড়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে, যা বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে লেনদেনের শুরু থেকে একবার কেনার চাপে সূচকের উত্থান হলেও পরমূহুর্তে বিক্রির চাপে সূচক নেমে যায়। এভাবে চলতে চলতে শেষমুহূর্তে সেব কয়টি সূচকের উত্থান হয়। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক সাড়ে ১৭ পয়েন্ট উর্ধ্বমুখী হয়। ডিএসই্‌স সূচক সোয়া সাত পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক প্রায় ৫ পয়েন্ট ইতিবাচক হয়।

আজ ডিএসইতে মোট ২৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগেরদিন লেনদেন হয় ২৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগেরদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৫ কোটি টাকা। এদিন লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২০টি বা ৫৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমেছে এবং ৭৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সূচক বৃদ্ধি পেলেও লেনদেনের পরিমাণ আশানুরূপ বাড়েনি। তালিকাভুক্ত প্রায় সব শেয়ারের দামই তলানিতে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে যে-সব শেয়ার রয়েছে, সেগুলোর দাম কেনা দামের চেয়ে কম থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না। যে কারণে সূচক বাড়লেও তারা শেয়ার ছাড়তে পারছেন না এবং বাজারের লেনদেনও বাড়ে না।

সাড়ে ৪২ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত শীর্ষে উঠে আসে। এ খাতে ৮০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়া ব্যাংক খাতে ৩৯ কোটি টাকা ও ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। সাড়ে ২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে লোভেলো আইসক্রিম লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা।  

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ৮৪টির। অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির দর। আগের কর্মদিবসে ৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হলেও আজ তা কমে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে সিএসসিএক্স সূচক প্রায় ১৩ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক সাড়ে ১২ পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল।