আস্থা ফেরাতে তাৎক্ষণিক প্রণোদনা জরুরি

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৯ মে) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গত কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে লেনদেন। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ লেনদেনের শুরুতে বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শুরুর দিকে কিছুটা স্থিরতা থাকলেও প্রথমভাগে সূচক ফের পতনের দিকে যেতে থাকে। এ সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া পাঁচ নির্দেশনার অগ্রগতি পর্যালোচনায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসেছেন। এই খবর বাজারে স্বস্তি তৈরি করে, সূচক ঘুরে দাঁড়ায়, এমনকি একপর্যায়ে চাঙ্গাভাবও লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু বড় বিনিয়োগকারীর ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছ থেকে বাজারে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট না আসায় ইতিবাচক ধারা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ফলে দুপুরের পর সূচক ফের নেতিবাচক দিকে মোড় নেয়, যা লেনদেন শেষে উভয় বাজারেই স্পষ্ট হয়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা যথেষ্ট নয়; সরকারের সরাসরি সহায়তা ছাড়া বাজার ঘুরে দাঁড়াবে না। আস্থা ফেরাতে তাৎক্ষণিক প্রণোদনা জরুরি। বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ হাউজ ও সরকার—সব পক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি।
যদি এখনই বাজারে বাস্তব ও স্পষ্টনীতি সহায়তা না আসে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশে শেয়ারবাজার ব্যবস্থা আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। বিনিয়োগকারীরা সম্পূর্ণভাবে মুখ ফিরিয়ে নিলে অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটি অচল হয়ে পড়বে।
এদিন ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। অন্য সুচকগুলোর মাঝে, শরিয়াহ সূচক 'ডিএসইএস' ৪ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১ পয়েন্টে আর 'ডিএস৩০' ৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৭১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট ২৮৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৯২ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার। আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৭ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৫ টির, কমেছে ২০২ টির অপরদিকে অপরিবর্তীত রয়েছে ৭০ টি কোম্পানির শেয়ারদর।
৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে ব্যাংক খাত লেনদেনের শীর্ষে থাকলেও মাত্র দুইটি কোম্পানির দর বেড়েছে। ৩৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে বস্ত্রখাত দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। এ খাতে ৭০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে সাড়ে ২৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়। সি
চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচকের ১৩ পয়েন্ট পতন হয়। সিএএসপিআই সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
Comments