বরগুনার আমতলীতে 'জবাই' হুমকি-চাঁদার অভিযোগ
বরগুনার আমতলীতে কথিত বিএনপি নেতা তারেক নোমান (অর্থাৎ তারেক রহমান) এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নির্বাচনপরবর্তী সময় ঘর থেকে টেনে এনে জবাই করে ফেলার হুমকির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে সিসি ক্যামেরার সেই ফুটেজ গণমাধ্যমকে সরবরাহ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান দাবি করেন, ভিডিও ফুটেজে তারেক নোমান নির্বাচনের পরে "ঘর থেকে টেনে এনে জবাই করে ফেলবো" বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে যা ঘটেছে তা কিছুই না, আগামীতে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটবে—ওই ধরনের কথাবার্তাও ওই সিসি ফুটেজে শোনা যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, তারেক নোমান ছাড়াও তাকে নিয়মিত হুমকি-ভয় দেখানো ও দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ এনে বলেন, হুমকিদাতা তারেক নোমান আগে আওয়ামী লীগের পরিচয় ব্যবহার করতো; পরে নাম কিছুটা পরিবর্তন করে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করছে বলে জানানো হয়েছে। মিজানুর আরও দুই সহচর হিসেবে আমতলী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মৃত মতিউর রহমানের পুত্র শামীম ও ৭নং ওয়ার্ডের নয়া মিয়া মৃধার পুত্র আবুল বাশারের নাম উল্লেখ করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, তার দোকান থেকে জোরপূর্বক পণ্যের দাবি-দাওয়ার অভিযোগে পূর্বেও আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রতিশ্রুতি ও মুচলেকা দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। প্রাণনাশের হুমকির এ ঘটনার পর গত ২৬ অক্টোবর আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও দায়ের করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বা তার আইনজীবীর বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরবর্তী তদন্ত ও থানার প্রতিক্রিয়া জানানো হলে প্রতিবেদনে তা সংযুক্ত করা হবে। অভিযুক্ত তারেক নোমানকে মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তারেক নোমান তা অস্বীকার করেন।
Comments