চট্টগ্রাম ১৬ আসনে ৫৭ মনোনয়নপ্রত্যাশীর অপেক্ষার প্রহর বাড়ল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডাকে চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীতে হাজির হয়েছিলেন দলটির ৫৬ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা। তবে মনোনয়নের ব্যাপারে কোনো সবুজ সংকেত দেননি তারেক রহমান। ঐক্য রক্ষার তাগিদ দিয়ে তারেক রহমান বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে যেন সবাই 'এক পরিবারের সদস্য' হয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাই মনোনয়নের জন্য চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা ও তাদের অনুসারী-সমর্থকদের অপেক্ষার পালা বাড়ল।
তবে নির্বাচনের ডামাডোল আরও ঘনিয়ে আসার আগে মাঠে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিযোগিতা যে আরও জোরালো হচ্ছে, এই বার্তা এখন স্পষ্ট। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী কাউকে রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার গুলশানের বিএনপি কার্যালয়ের সভায় ডাকা হয়নি। একই চিত্র দেখা গেছে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) এবং ফেনী-১ আসনের ক্ষেত্রেও। এ দুই আসনের কোন মনোনয়ন প্রত্যাশীকেও ওই সভায় ডাকা হয়নি।
মূলত দলের ভিআইপি প্রার্থী হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় দল থেকে আর কাউকে ডাকা হয়নি বলে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। একই অবস্থা কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) ও ফেনী-১ আসনেও। এ দুই আসন বিশেষ করে ফেনী-১ আসন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের জন্য রিজার্ভ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এ দুই আসনেও অন্য কাউকে ডাকা হয়নি।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে চট্টগ্রাম-১১ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী হচ্ছেন দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে তরুণ রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাঈদ আল নোমান।
বিএনপিসূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৫৭ মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডাকা হলেও রবিবার ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ৫৬ জন। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ও বর্তমানে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী বিদেশে থাকায় তিনি ওই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানা গেছে। এ সভায় দলের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসাথে চট্টগ্রাম বিভাগের সাত জেলার আরও ২০ আসনের অপর ৬১ প্রার্থীকেও তিনি একই বার্তা দিয়েছেন।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি তাদের প্রার্থিতা অনেকটা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। চলতি অক্টোবর মাসেই প্রায় ২শ প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দিতে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে ধারাবাহিক এ সভা করছে। রবিবার গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে এ সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১৮ মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডাকা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে দুটি বাদ রেখে ১৪ আসনের ৫৭ প্রার্থীকে ডাকা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্য থেকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) আসনটি বিএনপির শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তাই এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের রবিবারের সভায় ডাকা হলেও মূলত এলডিপিকে এটি ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে। তাছাড়া ঐ সভায় উপস্থিত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে পড়ে কিংবা কারা মনোনয়নবঞ্চিত হচ্ছেন, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই দলটির নেতাকর্মীদের। সবমিলে এবার প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপিকে সংসদ নির্বাচনের আগেই বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে- এমনটি মনে করেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
সভায় উপস্থিত বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন::
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই): উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ছালাউদ্দিন এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ): সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুল রহমান ভুঁইয়া মিল্টন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট আবু তাহের, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিন, বিএনপি নেতা মোস্তাফা কামাল পাশা এবং ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক রফি উদ্দিন ফয়সাল।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড): এ আসনে ডাক পেয়েছিলেন দলের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ও বর্তমানে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-র কাজী সালাউদ্দিন। তবে বিদেশে থাকায় আসলাম চৌধুরী ওই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ): বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এসএম ফজলুল হক এবং সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার এবং উত্তর জেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিকদার।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া): বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু আহমেদ হাসনাত।
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও, বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ-আংশিক): মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া): চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, নগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম এবং নগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির র ইদ্রিস মিয়া এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মামুন মিয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আব্বাস এবং সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া-আংশিক): বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম রাহী।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেন, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক।
মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের দুটি আসন বাদে বাকি ১৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বৈঠক করেছেন। সবার উদ্দেশে উনি খুবই হৃদয়গ্রাহী, আবেগময় একটি বক্তব্য দিয়েছেন। পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন- দলকে সন্তানতুল্য হিসেবে যেন সঠিকভাবে পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করি। আমাদের মধ্যে ঐক্যের যেন কোনো ঘাটতি না হয়, ঐক্যটা যেন ধরে রাখি। যাকে-ই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, সবাই যেন এক পরিবারের সদস্যের মতো করে মাঠে নেমে কাজ করেন এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করেন।
কোনো প্রার্থীকে 'সবুজ সংকেত' দেওয়া হয়েছে কী না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রিন, রেড-কোনো সিগনালই দেওয়া হয়নি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে বক্তব্যটা দিয়েছেন, সেটাতেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সবাই দলের অবস্থানটা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন এবং হাসিমুখেই সবাই বের হয়েছেন।
জানতে চাইলে দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, এ সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের আট জেলার ৩১ আসনের ১১৮ মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের উপস্থিত ছিলেন ৫৬ মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ সভায় দলের প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য ভার্চুয়ালি নির্দেশনা দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। তখন চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ১২১ জন দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
Comments