পদ্মার খেয়াঘাটে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ১৫০ জন যাত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার খেয়াঘাটে একটি নৌকা প্রায় ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে অল্পের জন্য নৌকাডুবির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়নপুর থেকে একটি নৌকা আলিম নগর ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নদীপাড়ের কাছেই ডুবতে থাকে নৌকাটি। এসময় নৌকার মাঝির কৌশলের কারনে অল্পের জন্য নৌকাটি বেঁচে যায় এবং প্রাণে রক্ষা পায় প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌকায় থাকা যাত্রী সূত্রে জানা যায়, একটি ৭ ফিট চওড়া ও প্রায় ৪০ ফিট লম্বা নৌকায় ৫০-৬০ জন যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও শিশু ও বৃদ্ধসহ প্রায় ১৫০ জন যাত্রী বোঝাই করা হয়। ফলে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে নৌকাটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নৌকা নদীর পাড়ে থাকার কারনে ডুবেনি বলে জানান নৌকায় থাকা যাত্রীরা।
নারায়নপুর বাসিন্দা ও নৌকায় থাকা যাত্রী আরিফ, সিফাত রানা ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজকে সকালে নৌকা ছাড়ার সময় নৌকাতে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ তোলা হয়, ফলে নৌকা ছাড়ার পর পরই নৌকাটি ডুবে যাচ্ছিল। কিন্তু নৌকার মাঝির পারদর্শিতার কারণে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় সবাই। এমনভাবে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার কারনে এর আগেও নৌকাডুবি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
পদ্মার খেয়াঘাটে নৌকায় নিয়মিত পারাপার হন জসিম আলী। তিনি বলেন, এর আগে বহুবার অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর কারনে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলেও টনক নড়েনি ইজারাদার ও প্রশাসনের। আজকে নৌকায় এমনভাবে যাত্রী উঠানো হয়, যাতে তিল ধারনের থাঁয় নেই। সেখানে শিশু ও বৃদ্ধ মহিলারাও ছিল। ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো ছাড়াও জোরপূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার ব্যাপক অভিযোগ থাকলেও কোন পদক্ষেপ নেয়না প্রশাসন।
ঘাট ইজারাদার জয়নালের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আরেক ইজারাদার সাদিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, এমন কোন ঘটনার তথ্য জানা নেই। নিয়ম বর্হিভূতভাবে ইজারা চুক্তি ভঙ্গ করে ইজারাদাররা পুনরায় মাসিক ইজারা দেয়। চলতি মাসের ইজারা পাওয়া ইমরান আলী বলেন, নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী উঠার কারনে এমনটা হয়েছে। যাত্রীদের দোষেই এমন ঘটনা ঘটে। নৌকাডুবি না হওয়ায় আজকের ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এনিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইকরামুল হক নাহিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক উজ্জল কুমার ঘোষ জানান, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments