কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আয়াকে প্রধান শিক্ষকের হুমকি, থানায় অভিযোগ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়াকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃধার কান্তি ঢালীর বিরুদ্ধে। আর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি থেকে বাদ দেয়া সহ আরো ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।
এ ঘটনায় বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টুঙ্গিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের আয়া পদবীতে কর্মরত ৩৫ বছর বয়সী মহিলা।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি ঢালী একই বিদ্যালয়ের আয়ার স্বামীর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। পরে ২ লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও একাধিকবার সময় নিয়েও বাকি ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়নি। পরে আয়ার স্বামী প্রধান শিক্ষককে টাকার জন্য চাপ দিলে ঐ আয়াকে কুপ্রস্তাব দেয়। তখন কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার সহ বিদ্যালয়ের ভিতরে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। পরে আয়া এঘটনার প্রতিবাদ করলে চাকরি থেকে বাদ দেয়া সহ আরো ক্ষতি করার হুমকি দেয় প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি ঢালী।
ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ বছর বয়সী আয়া বলেন, ২০২৪ সালে আড়াই লক্ষ টাকা আমার স্বামীর কাছ থেকে ধার নেন প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি ঢালী। পরে আমার মেয়ের বিয়ের সময় ২ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়ার পর শালিস বৈঠকে একাধিকবার সময় নিলেও বাকি ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়নি। উল্টো আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। রাজি না হওয়াতে চাকরি থেকে বাদ দেয়া সহ খারাপ ব্যবহার ও নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। দূর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি ঢালী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঐ আয়াকে আমার কক্ষেই ঢুকতে দেই না, তাই কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রশ্নই আসে না। আর টাকার বিষয়টিও ভিত্তিহীন। আমাকে হেয় করতে এমন অভিযোগ দিয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments