রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাঙামাটি। বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় দু ঘণ্টা দু'ঘণ্টা ব্যাপী রাঙামাটি জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের ১৫টি হস্তান্তরিত বিভাগে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, ফাইল আটকে ঘুষ আদায় এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে দুদক এ অভিযান চালায়। অভিযানে রাঙামাটি দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহিদ কামালের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান চলাকালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম ও নির্বাহী প্রকৌশলী এরশাদুল হক মণ্ডলসহ পরিষদের ১৪ সদস্যের মধ্যে ১০ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। তবে জেলা পরিষদের সদস্য প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারী আনন্দ তিষ্য চাকমা ও সহকারী প্রকৌশলী উজ্জ্বল দেওয়ান উপস্থিত থেকে দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন।
অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথিপত্র খতিয়ে দেখেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহিদ কামাল বলেন, "দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে রাঙামাটি জেলা পরিষদে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, খাদ্যশস্য বিতরণে অসচ্ছতা, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি এবং বিল আটকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।"
তিনি আরও বলেন, "রাঙামাটি জেলা পরিষদের পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। এখানকার অধিকাংশ কর্মকর্তা ও পরিষদ সদস্য কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না।" এসময় রাঙামাটি পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী এরশাদুল হক মন্ডলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক উপ-পরিচালক বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ফাইল চলমান রয়েছে এবং বর্তমানে যে অভিযোগগুলো পাওয়া গেছে তা যাচাই করা হচ্ছে।
Comments