যতীন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত দুর্গাপুরের সুধী সমাজ, শোকপ্রস্তাব গৃহীত

দেশবরেণ্য প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকারের মৃত্যুতে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গণ ও সুধী সমাজে শোকের ছায়া বইছে। তার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সুধী সমাজ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন তারা। এসময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে যতীন সরকারের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন সমাজের কবি,শিক্ষক, সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা।
দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজেশ গৌড় এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি এর পরিচালক কবি পরাগ রিছিল,কবি সজীম শাইন,কবি লোকান্ত শাওন,সংস্কৃতিজন শফিউল আলম স্বপন,সুসং সম্মিলিত সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কবি বিদ্যুৎ সরকার,শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রিপন, সাংবাদিক মামুন রণবীর এবং সাংবাদিক ও লেখক কলি হাসান তালুকদার।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, মানবাধিকার কর্মী শফিকুল আলম সজীব,শহীদ সন্তোষ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি পলাশ সাহা,এসবি রক্তদান সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈকত সরকার,সাংবাদিক আদনানুর রহমান সহ অন্যান্যরা।
আলোচকরা বলেন, যতীন সরকার এদেশের প্রগতিশীল চিন্তাধারার বাতিঘর ছিলেন। তিনি তার কর্ম-জ্ঞানে সব মানুষের হয়ে উঠেছিলেন। আমরা আজ সেই মহান শিক্ষক ও সম্পদকে হারিয়ে ফেলেছি। মানুষের মুক্তির সংগ্রামের জন্যই আমাদের তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অসংখ্য কর্মকাণ্ড তিনি রেখে গেছেন। অসংখ্য বক্তব্য, অসংখ্য লেখা সব জায়গায় আমরা তাকে খুঁজে পাবো। আমরা তার আদর্শ ধারণ করবো। তিনি বেঁচে রইবেন তার কাজের মধ্য দিয়ে।
প্রগতিশীল বাম ধারার বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, শিক্ষক যতীন সরকার বুধবার বিকাল পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে। সেখানেই রাজনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
Comments