সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যা; এসআই আকবর জামিনে মুক্ত

সিলেট নগরীর আখালিয়ার যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল রোববার হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে রাতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তিনি বের হন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর ডেপুটি জেলার মনিরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ রোববার আমাদের কাছে পৌঁছায়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এসআই আকবর আগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু হলে ২৫ মার্চ তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয় এবং মুক্তির আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যুবক রায়হান আহমেদকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন (১১ অক্টোবর) গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। তদন্তে ফাঁড়িতে নির্যাতনের প্রমাণ মেলে। এরপর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পলাতক আকবরকে ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে এসআই আকবরকে প্রধান আসামি করা হয়। অন্য অভিযুক্তরা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন এবং স্থানীয় সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমান।
Comments