সিলেটে জোড়া খুনের মামলায় দুই সহোদরের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের কানাইঘাটে জোড়া খুনের মামলার রায়ে দুই সহোদরের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একইসাথে আরেক আসামির যাবজ্জীবন এবং দুই জনকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
রোববার সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক ঝলক রায় এ রায় দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারি সালেহ আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বাকিবারা পৈত গ্রামের মৃত আবু শহীদের দুই ছেলে বোরহান উদ্দিন (৪৬) ও আব্দুন নুর (৫৩)।
তাদের আরেক ভাই আব্দুস শুকুর (৫০) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২২ জুলাই কানাইঘাট উপজেলার বাকিবারা পৈত গ্রামে বাড়ির সীমানা প্রাচীন নিয়ে বাদি আব্দুল্লার স্ত্রী সাজিদা বেগমের সাথে আসামিদের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আবুল কাশিম সাজিদার ঘরে ঢুকে দা দিয়ে কোপ মারেন। স্ত্রীর চিৎকার শোনে বাড়িতে আসেন আব্দুল্লাহ। এসময় আব্দুল্লাহকে রক্ষায় তার পিতা আবু বকর (৭১) এগিয়ে আসলে তাকেও আসামিরা মারপিঠ করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার ৪ দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হামলায় গুরুতর আহত মাওলানা মঈন উদ্দিন।
এই ঘটনায় পরদিন ২৩ জুলাই নিহত আবু বকরে ছেলে আব্দুল্লাহ বাদি হয়ে কানাইঘাট থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে কানাইঘাট থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আব্দুল মান্নান ২০০৭ সালে দুই সহোদরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০০৮ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি এবং ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক রোববার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
Comments