সাজেকে পাহাড় ধস: ১০ ঘণ্টা পর সচল যোগাযোগ, ফিরছেন পর্যটকরা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ফলে টানা ১০ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সাজেকগামী সড়ক যোগাযোগ। তবে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে আটকে পড়া শত শত পর্যটকের মাঝে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে লাগাতার ভারী বর্ষণের কারণে সাজেক সড়কের অন্তত তিনটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়ে। এতে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে শতাধিক যানবাহন ও চার শতাধিক পর্যটক দুই পাশে আটকা পড়ে যান।
ভোর থেকে সাজেক ভ্যালির সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার টানা প্রচেষ্টায় বিকেল নাগাদ সড়ক থেকে মাটি, পাথর ও গাছপালা অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, "দুপুর আড়াইটার দিকে সাজেক সড়ক সচল হয়েছে।
খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যানবাহন চালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, "বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাজেক থেকে পর্যটকবাহী গাড়িগুলো পুলিশ স্কট এর মাধ্যমে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।"
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাজেক ভ্যালি বর্ষাকালে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধরনের ঘটনায় ভবিষ্যতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিকল্প নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ও আগাম সতর্কতা আরো জোরদার করা দরকার।
Comments