চাঁদপুরের মেঘনায় ভেসে উঠল নিখোঁজ ফরহাদ জুয়েলের মরদেহ

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের নিখোঁজ জুয়েলের মরদেহ মেঘনা নদীতে ভেসে উঠেছে। ৫ জুলাই শনিবার বিকালে মরদেহ ভেসে উঠার তথ্য নিশ্চিত করেন নিহত জুয়েলের পিতা আবুল হাশেম। তিনি জানান, জুয়েল কে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি এবং এলাকাবাসী সবাই খুনি কে বা কারা তাদের খুঁজে বের করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে জুয়েলের পরিবারের কাছে অজ্ঞাত নম্বর থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মোঃ ফরহাদ জুয়েল (২৭) এর এ ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জুয়েলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ফরহাদ জুয়েল তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে মোহনপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে (০১৯২৯৫৮২৪৬৫ ও ০১৭৩৫৫৩৩৫৬২) কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরদিন সকালে পাঁচানী স্কুলের দক্ষিণ পাশে সামছু মিয়ার বাড়ির কাছে রাস্তার ধারে ফরহাদ জুয়েলের মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
এদিকে, নিখোঁজের পরদিন বিকেলে জুয়েলের বড় ভাই সোহেলের মোবাইলে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে এবং তাকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় অপহরণের আশঙ্কা করেছিলেন তারা।
নিখোঁজ যুবকের পিতা মো. আবুল হাসেম থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানান, আমার ছেলে কোথায় আছে আমরা জানি না। মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে, কিন্তু সে নিখোঁজ। এমনকি অপরিচিত নম্বর থেকে মুক্তিপণের জন্য ফোন আসায় আমরা সবাই ভীষণ আতঙ্কে আছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক বলেন, নিখোঁজ জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার বিষয়ে পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুত ফরহাদ জুয়েলের এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
Comments