আবহাওয়া অফিসের মতে বৃষ্টিপাত যতদিন থাকবে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ সময় সংবাদকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। তবে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
শনিবার থেকে আকাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ জানান, আগামীকাল শুক্রবারও (৩০ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'পার্বত্য অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।'
এই পরিস্থিতিতে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর ও নৌ বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি আজ ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
Comments