পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যায় দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের এজাহারনামীয় আসামিসহ দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা মিরপুরকেন্দ্রিক কুখ্যাত সন্ত্রাসীগ্রুপ 'ফোর স্টার'-এর সক্রিয় সদস্য। এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যার পেছনে বড় অংকের অর্থের লেনদেন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১২, ব্লক-বি এলাকার বিক্রমপুর স্যানিটারি ও হার্ডওয়্যার দোকানে ছয়জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে বুকে ও পিঠে গুলি করে গোলাম কিবরিয়াকে (৫০) হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় স্থানীয় জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে এক রিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে জনতা ধাওয়া করে জনি ভূইয়া (২৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই র্যাব-৪–এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের ধরতে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সাভার থানাধীন বিরোলিয়া এলাকা থেকে গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি এবং হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী মো. মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল (৩০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজারবস্তি এলাকা থেকে ১৮ মামলার শীর্ষ ও পলাতক সন্ত্রাসী মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন (৩৫)-কে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
গ্রেপ্তার দুজনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, রাজনৈতিক কোন্দল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
Comments