সিটি ইউনিভার্সিটিতে আটক ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে হস্তান্তর
সাভারের আশুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আটক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১১ শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি ইউনিভার্সিটির প্রক্টর শেখ মুহাম্মদ আলিয়ার।
শেখ মুহাম্মদ আলিয়ার বলেন, আজ বেলা আড়াইটার দিকে ওই শিক্ষার্থীদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কিছু লোক এসেছিলেন, তাঁদের কাছে শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জেরে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত সব ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শেখ মুহাম্মদ আলিয়ার বলেন, 'আমরা তাদের আটকে রাখিনি। তারা এখানে ঘুরেফিরেই বেড়াচ্ছিল। যেহেতু অনেকেই রাতে আটকা পড়েছিল, তাই তাদের সেফ (নিরাপদ) করার চেষ্টা করেছি। কারণ, কেউ যেন তাদের আঘাত করতে না পারে। এ জন্য তাদের একটা নিরাপত্তার মধ্যে আমরা রেখেছিলাম। এরপর ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ এসে তাদের নিয়ে গেছে।'
তবে আটক শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মূলত ইউজিসির প্রতিনিধিদলের কাছে শিক্ষার্থীদের হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম ও শিক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন। এখন ওই শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে, আমরা তাদের হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।'
এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, 'পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। হামলায় আমাদের ২৫-২৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে। তারা (ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা) শিক্ষার্থীসুলভ আচরণ করেনি। যাদের ধরা হয়েছে, তারা ভাঙচুর চালাচ্ছিল। একজন শিক্ষার্থী ল্যাপটপ, কম্পিউটার, এসি—এগুলো কি চুরি করতে পারে? আমরা চাই, ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে। না হলে আইনের আশ্রয় নেব। আমাদের ২০-২৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।'
Comments