অক্টোবরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স ১৯২ কোটি ডলারে পৌঁছেছে
চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে বাংলাদেশে এসেছে ১৯২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাওয়া গেছে। এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
তুলনায় দেখা যায়, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ১৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, অর্থাৎ বছর হিসেবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত রেমিট্যান্স হয়েছে ৯৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বছর-ব্যাপী এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৪.১০ শতাংশ বেশি।
এছাড়া শুধু ২২ অক্টোবর একদিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স হয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
আগের কয়েকটি মাসের গতি বিবেচনায়:
> এই অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স হয়েছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার
> আগস্টে আসে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার
> সেপ্টেম্বরেও রেকর্ড হয় ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার
উল্লেখযোগ্যভাবে, অর্থবছর ২০২৪-২৫ সালে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স — যা দেশের ইতিহাসে এক নির্দিষ্ট অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
রেমিট্যান্সের এই দ্রুত বৃদ্ধির পেছনে কিছু কারণ বেশ স্পষ্ট:
> গত অর্থবছর রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রবাহ ধরে রাখা সহজ হয়েছে।
> গত কয়েক মাসে রেমিট্যান্স আইনের আওতায় না পড়া বা হুন্ডি রূপে প্রেরণ করা অর্থের পরিমাণ কমেছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
> রেমিট্যান্স বৃদ্ধি বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক — এই ভূমিকা ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে, যেমন রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধি দেশের মুদ্রা রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে, যা আমদানি ব্যবস্থাপনায় ও বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দ্রুত বাড়লে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও অধিক স্থিতিশীলতার দিকে যেতে পারে।
Comments