রাকসু নির্বাচনে দুটি ‘আংশিক’ প্যানেল ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমন্বয়ে দুটি 'আংশিক' প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্যানেল দুটির নাম 'ইনডিপেনডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স' ও 'ইউনাইটেড ফর রাইটস'।
আজ রোববার বেলা পৌনে একটায় ও দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেল দুটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইনডিপেনডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদে আছেন আশিকুল্লাহ মুহিব। জিএস পদে আবদুল মুকিত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ছাত্র ফেডারেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যান্য পদে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। তাঁরা প্যানেলে অন্য পদগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
ভিপি প্রার্থী আশিকুল্লাহ মুহিব বলেন, 'দলীয় প্রার্থী ও প্যানেলের অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট আছে। আমাদের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সেই সহায়তার জায়গা নেই। ফলে আমরা একতাবদ্ধভাবে একটি জোট করেছি। আমাদের অন্যান্য পদে আমরা প্রার্থীদের আসার আহ্বান করছি।'
এদিকে বেলা দেড়টার দিকে পরিবহন মার্কেটে আরেক সংবাদ সম্মেলনে ভিপি, জিএস ও এজিএস ছাড়াই ১১ সদস্যের আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করেছেন একদল প্রার্থী। তাঁদের প্যানেলের নাম ইউনাইটেড ফর রাইটস।
প্যানেলে সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রেজওয়ান করিম, সহনারীবিষয়ক সম্পাদক পদে হাসনা হেনা, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক পদে ইফতেখারুল আলম, সহতথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক পদে নাবিল বিন জাকের, মিডিয়া ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক পদে শাহরিয়ার মোর্শেদ খান, সহমিডিয়া ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক পদে তালহা হোসাইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে বিজয় কৃঞ্চ দাস, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. রাসেল রানা, সহপরিবেশ ও সমাজকল্যাণ–বিষয়ক সম্পাদক পদে আশিকুর রহমান, নির্বাহী সদস্য পদে শাহরিয়ার ফয়সাল ও মো. জাফর আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী নাবিল বিন জাকের বলেন, এত বছর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বলার জায়গা ছিল না। ছাত্র সংসদ কার্যকর না করে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন আসন–বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নির্যাতন, ভিন্নমত দমন করে একটা নৈরাজ্য তৈরি করে রেখেছিল। জুলাই বিপ্লবের পরও বিভাজন, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির আগ্রাসনে আবার আগের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সেই ভাবনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ ও হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে একটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
Comments