ঢাবির প্রবেশপথ ও আশপাশে রাজনৈতিক কর্মীদের ভিড় বাড়ছে
 
বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ভোট শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও অনুসারীরা সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রবেশমুখ ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণে তিন শতাধিক মানুষ জড়ো হন। বকশিবাজার মোড়ে উপস্থিত আছেন দুই শতাধিক মানুষ। তবে পলাশী মোড়ে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম দেখা গেছে।
সরেজমিনে কয়েকটি প্রবেশমুখ ঘুরে দেখা যায়, ধীরে ধীরে মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের সামনে কয়েকশ মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ দলবদ্ধভাবে অবস্থান করছেন, কেউবা আশপাশে দাঁড়িয়ে নীরবে অপেক্ষা করছেন। বকশিবাজার মোড়েও একই চিত্র—এখানে দুই শতাধিক মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। পলাশী মোড়ে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম হলেও আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের গতিবিধি ছিল লক্ষণীয়।
কিন্তু এত মানুষের ভিড়ের মধ্যেও কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রশ্ন করলেই অনেকে নীরবে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার হাসি দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা স্বীকার করতে চাননি যে তারা নিজেদের সমর্থকদের জড়ো করছেন। ফলে ভিড় বাড়লেও এর উৎস ও কারণ সম্পর্কে কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না।
অবশ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাধিক প্রবেশপথে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ক্যাম্পাসের ভেতরেও আগের তুলনায় পুলিশের উপস্থিতি বেড়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ছয় বছর পর এবার অনুষ্ঠিত হলো দেশের 'মিনি পার্লামেন্ট' খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়
এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
 
  
 
 
 
Comments