উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লায় মা, মেয়ে ও ছেলেকে হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারের সদস্য রুমা আক্তার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
ঘটনার বিবরণ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল মাস্টারকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি একজন উপদেষ্টার বাবা হয়ে কীভাবে এমন নির্মম হত্যার নির্দেশ দিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, শিমুল চেয়ারম্যানসহ অন্য সকল আসামি যারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। আপনারা কেউ আসামির পক্ষপাতিত্ব করবেন না।
তিনি আরও বলেন, মামলার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। সেই সময় পরিবারের তিনজনের হত্যাকাণ্ড এবং বাকিরাও আহত থাকায় আমার বোন রিক্তা আক্তার মামলায় আসামিদের নাম সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেনি এবং মামলার আসামি নির্ধারণ পুলিশ কর্তৃক হওয়ায় অপরাধীদের অনেকের নামই বাদ পড়েছে, যেগুলো নতুন করে লিপিবদ্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
রুমা বলেন, আজকের পর থেকে আমাদের ওপর আর কোনো আঘাত আসলে এর জন্য সব দায় থাকবে উপদেষ্টা আসিফ ও তার বাবা বিল্লাল হোসেনের। আজকের পরে আমাদের কারো কোনো ভিন্ন বক্তব্য সামাজিক মাধ্যম বা কোথাও দেখলে আপনারা ধরে নিবেন, আসিফ মাহমুদের লোকজন জোরপূর্বক আমাদের দিয়ে সেগুলো বলিয়ে মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। যেমন: আমাদের সৎ বাবা জুয়েল হাসানকে, কয়েকদিন আগে আসিফ মাহমুদের লোকজন তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ভিন্ন বক্তব্য দিতে বাধ্য করিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই সংবাদ সম্মেলনের পর তারা (খুনিরা) আমাদের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে। সুতরাং, এরপর আমাদের পরিবারের কারো ওপর কোনো আঘাত বা কারো কিছু হলে আপনারা সাক্ষী থাকলেন এর সব দায় নিতে হবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে।
রুমা আক্তার বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের উদ্দেশে আমাদের একটাই কথা, আমাদের পরিবারের মা, ভাই, বোন সবাইকে হারিয়ে আমরা শেষ। আমাদের আর শেষ কইরেন না। আমরা বাচঁতে চাই। আমাদের একটু বাচঁতে দিন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ৩ জুলাই উপদেষ্টার বাবার মদদে তার মা ভাই ও বোনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেদিন তাকেও কুপিয়ে জখম করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। মামলা করলেও প্রধান আসামি উপদেষ্টার বাবার নাম বাদ দিয়ে পুলিশ ইচ্ছেমতো অধিকাংশ আসামিদের নাম দেয়।
Comments