ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আশা বাড়ছে দলগুলোর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা এর মধ্যেই সরকারের দায়িত্বশীল মহলের দেওয়া সময়সীমা অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশাবাদী। বিশ্লেষক মহলও বলছে, এ ঘোষণায় প্রার্থী, ভোটার ও রাজনৈতিক দল সবাইকে উজ্জীবিত করবে। বিষয়টি রোজার আগে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে জটিলতা নিরসনে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে কি না—এ নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারেননি। পিআর পদ্ধতি নাকি চলমান পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, তা নিয়েও দলগুলোর মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে বারবার বলা হচ্ছে যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে 'ইতিহাসের সেরা নির্বাচন' উপহার দেওয়া হবে।
গত ১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর সংসদ নির্বাচন নিয়ে যৌথ ঘোষণায় অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) একান্তে বৈঠক হয়। অনেকেই ধারণা করেছেন, হয়তো প্রধান উপদেষ্টা সিইসিকে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তবে ওই বৈঠকে কী বিষয়ে কথা হয়েছে সেটার সুস্পষ্ট বক্তব্য আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার নির্বাচনের সব প্রস্তুতি, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রস্তুতিগুলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর থেকে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরে ইউনূস-তারেক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও আশা জাগিয়েছে। রাজনীতিবিদদের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, সরকার নির্বাচনের বিষয়ে পুরোপুরি আন্তরিক—এমনটি বলা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হলে দলগুলো আস্থা রাখতে পারবে না।
লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক শেষে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রশ্নে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণার পর বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেছিলেন যে, নির্বাচন নিয়ে সব অনিশ্চয়তা কেটে গেছে এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। ফলে বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনমুখী তৎপরতাও শুরু করে। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে পদযাত্রা, সমাবেশ-গণসংযোগের টানা কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে সরকার ও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মকাণ্ড দেখে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আসলেই হবে কি না, তা নিয়েও কথা ওঠে। কারণ নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কও এখন প্রকাশ্যে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর নির্বাচনী ব্যবস্থা নাকি সরাসরি ভোট—এ নিয়ে কয়েকটি দল পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। বিএনপি এবং তার মিত্র দলগুলো সংসদীয় আসনে সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার বিদ্যমান ব্যবস্থার পক্ষে; কিন্তু জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামী দল ও বাম ঘরনার কিছু রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক হারে ভোট এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য বা পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে রাজনীতিতে অস্থিরতা রয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও টানাপোড়েনের মধ্যেই গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন 'যমুনা'য় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে নির্বাচনে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব বাদ দেওয়া, সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুলিশের শরীরে বডিওর্ন ক্যামেরা স্থাপনের নিদের্শনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান। বৈঠকটি মূলত আইনশৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে হলেও তাতে নির্বাচন-সংক্রান্ত নানা প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থাৎ, লন্ডন বৈঠকের পর এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার কথা অনেক পরিষ্কারভাবে জানাল সরকার।
নির্বাচনের বিষয়ে সরকার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রস্তুতি শেষ করার যে নির্দেশ দিয়েছে, সে বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ দিতে চাই; কারণ, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব কাজ গুছিয়ে রাখার জন্য। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা আশা করব যে, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ কাজগুলো (প্রস্তুতি) খুব দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে তারা একটা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। যেন এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। তারা যেন সেভাবে কাজ করে।
'নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে কী হবে না' রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন আলোচনার প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমি খুব আশাবাদী মানুষ। অনেকে বলেছেন যে, নির্বাচন হবে না। কেন? নির্বাচন তো এদেশের মানুষ চায়, নির্বাচনের জন্য তো এদেশের মানুষ প্রাণ দিয়েছে। কারণ, মানুষ একটা নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব চায় পার্লামেন্টের মধ্য দিয়ে। এ জিনিসগুলো নিয়ে আমি মনে করি কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো যে, যত দ্রুত সম্ভব আমরা সংস্কারের কাজগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচিত সরকারের দিকে যাই, গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাই।'
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বৃহস্পতিবার বলেন, 'নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি অনেক আগেই নিতে হয়, যদি সে অর্থে এটা (প্রস্তুতির নির্দেশ) বলে থাকেন তবে এ কথা ইতিবাচক মনে করা যেতে পারে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি; কিন্তু বারবার একটি অপশক্তি সেই পথে বাধার সৃষ্টি করছে। কিছুদূর এগিয়ে আবার কিছুদূর পিছিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন এলে পরাশক্তির যে খেলা হয়; সেই খেলা কিন্তু আমরা দেখতে পারছি। অর্থ পাচার, লুটপাট, দুর্নীতির সিন্ডিকেট এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তারাই নানান ধরনের অনিশ্চয়তার কথা সামনে আনছে।'
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গতকাল বলেন, 'ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করতে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তাকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করি। নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের সব স্তরে এই নির্দেশনা বেশ গতি সঞ্চার করবে বলে আমরা আশাবাদী। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তা এর মাধ্যমে অনেকটাই কেটে যাবে বলে আমার ধারণা।'
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা গতকাল বলেন, 'বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, স্পষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য। এখানে নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়নি। এমনকি সিইসি বলেছেন যে, নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। আমরা মনে করি উনি (প্রধান উপদেষ্টা) যেভাবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে সে জায়গাগুলোতেও হস্তক্ষেপ করেছেন। কিছু অবাস্তব প্রস্তাবও দিয়েছেন। ফলে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার নয়। তিনি আরও বলেন, মানুষ হিসেবে আশা করতে চাই যে, প্রধান উপদেষ্টা ১৩ জুন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থাৎ রোজার আগেই বা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন আয়োজন করবেন, সে ব্যাপারে তিনি দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগ দেবেন।'
বিএনপির চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির বিশেষ সহকারী বদরুল আলম চৌধুরী শিপুল বলেন, 'সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশ কোনোভাবেই সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয়। তবে জোর করে প্রয়োগ করা হলে এ পদ্ধতি দেশকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে। কোনো কোনো দল তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে চাইছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা তাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। তবুও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেটি আশাব্যঞ্জক। কেননা, দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।'
সার্বিক বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মো. সাহাবুল হক বলেন, 'বাংলাদেশের গণমানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কারণ দীর্ঘ ১৫ বছর তারা নিজেদের পছন্দ মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল দেশের জনগণ এবার ভোট দিতে পারবে। গত ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় যে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের পবিত্র রমজান মাসের আগে নির্বাচন হতে পারে।
ড. সাহাবুল হক বলেন, শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না দেওয়ায় দলগুলোর মধ্যে এ ধরনের সন্দেহ রয়েই গেছে। এমনকি নির্বাচন-সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে জটিলতাও পুরোপুরি নিরসন হয়নি। যেমন—পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ খাতের সংস্কার, জুলাই সনদ ঘোষণাসহ নানা বিষয় সামনে আসছে। যদিও এ বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে নির্বাচনটাকে মূল বিষয় ধরে অন্য বিষয়গুলো কাজ করলে মানুষ আরও উজ্জীবিত হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ হয়তো সেটিরই ইঙ্গিত কিংবা রোজার আগে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে জটিলতা নিরসনে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
Comments