শেরপুরে ডোবা থেকে গলায় রশি পেঁচানো কিশোর অটোচালকের লাশ উদ্ধার

শেরপুরের গাজিরখামারে নিখোঁজের একদিন পর হোসেন আলী (১৫) নামে এক কিশোর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে উপজেলার গাজিরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে ডোবা থেকে গলায় রশি পেচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলার দড়ি একপাশ রাস্তার একটি গাছে বাঁধা ছিলো।
নিহত হোসেন আলী গাজিরখামার ইউনিয়নের চককুমরী গ্রামের আইসক্রিম বিক্রেতা সিরাজ আলী ওরফে বুচার ছেলে। এদিকে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গতকাল রবিবার বিকেলে হোসেন আলী অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত গভীর হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়িতে না ফেরায় চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে সোমবার বিকেলে লাশের সন্ধান পায় তারা। ঘটনাস্থল থেকে তিনজোড়া জুতা পাওয়া গেছে। জুতা গুলো হত্যাকারীদের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় মনিরাজ মিয়া বলেন, রাস্তার পাশে পানিতে অর্ধডুবন্ত অবস্থায় একটি টিশার্ট দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে আমি লোকজনকে জানালে স্থানীয়রা দেখে মৃত লাশ। গলায় রশি পেঁচানো ছিলো। পরে এলাকার লোকজন শেরপুর সদর থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে একটি সূত্র বলছে, ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের চিথলিয়া বাজারে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। নিহতের স্বজনের দাবি, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের জন্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে লাশ শেরপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিন জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে, যা সম্ভাব্য হত্যাকারীদের বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
Comments