বার্সাকে উড়িয়ে দিলো চেলসি
এস্তেভাও দারুণ এক গোল করলেন একক প্রচেষ্টায় । তাতে চেলসি চ্যাম্পিয়নস লিগে জয়ে ফিরেছে। ১০ জনের বার্সেলোনা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে হেরেছে ৩-০ গোলে। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের চোখ ধাঁধানো গোলের আগেই চেলসি লিড নিয়েছিল জুলেস কোন্দের আত্মঘাতী গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ১০ জনের বার্সার ডিফেন্স চিড়ে চমৎকার এক গোল করেন।
রিচি জেমস ডানদিকে এস্তেভাওয়ের কাছে বল বাড়ান। প্রথমে পাও কুবারসিকে কাটিয়ে আলেহান্দ্রো বালদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও দমে যাননি ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গার। ডানপায়ের অদম্য শটে জাল কাঁপান তিনি। নিশ্চিতভাবে পশ্চিম লন্ডনে এই গোল লম্বা সময় সবার মুখে মুখে থাকবে।
প্রথমার্ধে চেলসি বার্সার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে। কাতালানদের বোতলবন্দি করে রেখেছিল একের পর এক আক্রমণে। মারেস্কা ডাগআউট থেকে সেরা ৯০ মিনিট দেখেছেন। ক্লাব বিশ্বকাপের পর লিয়াম দালেপ প্রথম গোল করেছেন। এই জয়ে চেলসির শেষ ষোলো মোটামুটি নিশ্চিত।
তিন মিনিটে এনজো ফের্নান্দেজ জালে বল পাঠান। কিন্তু বিল্ডআপের সময় ওয়েসলি ফোফানার হাতে লাগায় গোল বাতিল হয়। মাঝমাঠে জেমস ও মোয়াসেস কাইসেদো তালগোল পাকালে সুযোগ তৈরি করেন ফেরান তোরেস। বার্সা ফরোয়ার্ড অবশ্য চেলসি কিপার রবার্ট সানচেজের সঙ্গে পেরে ওঠেননি।
এস্তেভাওয়ের ফ্রি কিক থেকে দ্বিতীয়বার ফার্নান্দেজের গোল বাতিল হয়। এবার অফসাইডের বাঁশি বাজে।
চেলসি আবারো আক্রমণে যায়। ফের্নান্দেজের শট বালদের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কিছুক্ষণ পর কর্নার থেকে বল পেয়ে মার্ক কুকুরেল্লা বাইলাইন ধরে বল গোলমুখের সামনে দেন। নেতোর কাটব্যাকে বল গোললাইন পার হতে পারেনি। তোরেস বাধা দেন, কিন্তু বল কোন্দের পায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়।
বার্সা অধিনায়ক রোনাল্ড আরাউহো ১২ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে চেলসির জয়ের পথ সহজ হয়ে যায়। ৪৪ মিনিটে কুকুরেল্লাকে টাচলাইনের কাছে ফাউল করে শাস্তি পান তিনি।
আরেকটি অফসাইড গোলে চেলসিকে হতাশ হতে হয়। এবার আন্দ্রে সান্তোস এবার আশাহত হন। তবে চেলসি ঠিকই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়।
৫৫ মিনিটে বালদে ও কুবারসিকে বিস্মিত করে উঁচু শটে এস্তেভাওর সেই দর্শনীয় গোল। বেঞ্চ থেকে উঠে এসে ৭৩তম মিনিটে দালেপ করেন তৃতীয় গোল।
৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে গেছে চেলসি। ৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা নেমে গেছে ১৫ নম্বরে।
Comments