মেসির রেকর্ড অ্যাসিস্ট ও জোড়া গোলে ইতিহাস গড়ে সেমিতে মায়ামি
চারটি গোল ইন্টার মায়ামির নামের পাশে, প্রতিটিতেই অবদান রয়েছে লিওনেল মেসির। এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা প্রথমার্ধে দুই গোলে লিড এনে দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে খেলছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে প্রথমবার ৪০০তম গোলে বলের যোগান দিলেন মেসি। তার ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের দিনে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার এমএলএস কাপের সেমিফাইনালে উঠল মায়ামি।
ন্যাশভিলে এসসির বিপক্ষে বরাবরই পরিসংখ্যান ভালো মায়ামির। মেসিও তাদের বিপক্ষে যথারীতি জ্বলে উঠলেন, গত তিন সপ্তাহে চারবারের দেখায় ন্যাশভিলের জালে তিনি ৮ বার বল জড়িয়েছেন। চলতি বছর এমএলএসের গোল্ডেন বুটজয়ী এই তারকার গোল-অ্যাসিস্ট বেড়ে দাঁড়াল ৬১-তে। পেশাদার ক্যারিয়ারে তার চেয়ে বেশি (৪০৪) অ্যাসিস্ট আছে কেবল একজনের। হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফুটবলারের সেই রেকর্ড অবশ্য বেদখলের দ্বারপ্রান্তে।
গত মৌসুমে প্রথমবারের মায়ামিকে এমএলসের প্লে-অফে তুলেছিলেন মেসি-সুয়ারেজরা। কিন্তু প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচেই তারা হেরে যায়। যদিও এমএলএসের ইতিহাসে এক মৌসুমের রেকর্ড সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে মায়ামি সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছিল। এবার তিন ম্যাচের সিরিজে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। ইস্টার্ন কনফারেন্সের এই সিরিজনির্ধারণী ম্যাচে আজ (রোববার) মায়ামির জয়টা এসেছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। মেসির জোড়া গোল ছাড়া বাকি দুটি গোল করেন তাদেও আলেন্দে। ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি দাপট দেখিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে।
ন্যাশভিলের বিপক্ষে মায়ামি তিন ম্যাচের সিরিজে ৮ গোল দেয়, বিপরীতে হজম করে ৩ গোল। নিজেদের ৮ গোলের সবকটিতেই ছিল মেসির অবদান। ইস্টার্ন কনফারেন্সের সেমিফাইনালে মায়ামির প্রতিপক্ষ এফসি সিনসিনাতি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা ২২ অথবা ২৩ নভেম্বর মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে।
ম্যাচের মাত্র ১০ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন মেসি। ন্যাশভিলে ফুটবলারের ভুল পাসে তিনি বল পেয়ে বক্সের সামনে পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। এরপর কয়েকজনের মাঝখানে থেকেই শটে সফল লক্ষ্যভেদ করেছেন এলএমটেন। মাতেও সিলভেট্টির ব্যাক পাসে ৩৯ মিনিটে তিনি দ্বিতীয় গোলটি করেন। যা পেশাদার ক্যারিয়ারে মেসির ৮৯৪তম গোল। মায়ামি প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় দ্বিগুণ ব্যবধানে।
আরেক আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার তাদেও আলেন্দে স্কোরশিটে নাম তোলেন ৭৩ মিনিটে। জর্দি আলবা ও মেসি বল দেওয়া-নেওয়া করে শেষ মুহূর্তে ব্যাক পাস দিলে আলেন্দে সেটি জালে জড়ান। মিনিট দুয়েক বাদেই মেসির দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট, বল পেয়ে আলেন্দে ভলিতে জালের দেখা পান দ্বিতীয়বার। এর মধ্য দিয়ে রানিং ফুটবলারদের মধ্যে প্রথমবার ৪০০তম অ্যাসিস্ট করলেন মেসি।
Comments