মুশফিকও বললেন, যৌন হয়রানির প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু ও নারী বিভাগের সাবেক ইনচার্জ তৌহিদ রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে আলোচনার ঝড় তুলেছেন পেসার জাহানারা আলম। এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকার ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুশফিক লিখেছেন, 'সম্প্রতি আমাদের ক্রিকেট সম্প্রদায়ে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভয়াবহ খবরের কথা জানতে পেরেছি। আমি যদিও ঘটনার দুই দিক বা পুরো সত্যটা জানি না, তবুও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীতে কোনো ধরনের হয়রানির স্থান নেই। আপনি যেই হোন না কেন, আপনার লিঙ্গ বা অবস্থান যাই হোক না কেন।'
তিনি আরও লেখেন, 'যদি অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়, তাহলে দোষীদের অবশ্যই যথাযথ শাস্তি ও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। যারা এই কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি রইল। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ দেখান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের শক্তি ও ধৈর্য দান করুন।'
লেখার পাশাপাশি মুশফিক ছবির মাধ্যমে 'যৌন হয়রানির প্রতি জিরো টলারেন্স' বার্তাও দিয়েছেন।
জাহানারার অভিযোগের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফেসবুকে তিনি লেখেন, 'বাংলাদেশের ক্রিকেট ও গোটা ক্রীড়াঙ্গনের স্বার্থে জাহানারা আলমের প্রতিটি অভিযোগ বিসিবি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে আশা করি। আশা করি, বিসিবির তদন্ত কমিটি পুরোপুরি প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে এবং অভিযোগের সত্যতা পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে, যেন এসবের পুনরাবৃত্তি আর কখনো না হয়। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন নিরাপদ হোক সবার জন্য।'
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মর্তুজাও বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বিসিবির বাইরেও সরকারি পর্যায়ে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
Comments