গোপালগঞ্জে জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু বিনা ধান-২৬ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জে জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু বিনা উদ্ধাবিত আমন ধানের উন্নত জাত বিনা ধান-২৬ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো: মামুনুর রহমান।
গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো: আবুল বাসার মিয়া, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার, বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নির্মল কুমার দেসহ শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, বিনা ধান ২৬ হলো একটি উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদি রোপা আমন জাত। যা বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত। এর চালের অ্যামাইলোজ ২৬ শতাংশ ও প্রোটিন কেজি প্রতি ৯.৪ মিলিগ্রাম। এ জাতটি ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট রোগ প্রতিরোধী। উচ্চ ফলনশীল এ জাতের ধানের জীবনকাল মাত্র ১২০ দিন এবং জলাবদ্ধতাপূর্ণ জমিতে চাষাবাদ করা যায়। ফলে একই জমিতে ৩টি ফসল চাষ করা সম্ভব। এই জাতে হেক্টর প্রতি গড় ফলন সাড়ে ৬ টন এবং রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন বেশি পাওয়ার পাশাপশি অর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো: মামুনুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা নিচু এলাকা। বিনা ধান ২৬ এর জন্য একেবার উপযুক্ত। এ ধানটি ১৫ দিনের মত পানির নিচে থাকার পরও ভালো ফলন দিয়েছে। এ জাতের ধান কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। এতে আমাদের এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবেন। #
বাদল সাহা
গোপালগঞ্জ।
Comments