যথাযোগ্য মর্যাদায় মালয়েশিয়ায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎসবমুখর পরিবেশে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মনজুরুল করিম খান চৌধুরী।
পতাকা উত্তোলন শেষে হাই কমিশনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পর্ব হয়।
হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪ এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বিজয় দিবসকে আমাদের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, এবং স্বাধীনতার মর্যাদার প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করেন। স্বাধীনতার পরবর্তী এই দীর্ঘ সময়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্জন একেবারে কম নয় বলে মন্তব্য করেন হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠান শেষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রবাসীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এবং জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে প্রবাসীদের ভূমিকা এবং অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি '৭১ ও '২৪ এর শহীদ ও বীর যোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে আহবান জানান।
হাইকমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট এ পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে অংশ নেয়ার জন্য মালয়েশিয়া প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান এবং দ্রুত নিবন্ধনে সহায়তার জন্য প্রবাসীদের সকল পেশাজীবী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থাবের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সবশেষে অতিথিরা মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর '৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং '২৪ এর অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাণি পাঠ করা হয় এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর প্রবাসী শিক্ষার্থী এবং হাইকমিশনের কর্মচারীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশ করা হয়।
Comments