বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা পদমর্যাদার সঙ্গে আর্থিক সুবিধা পাবেন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদমর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা পাবেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে মহার্ঘ ভাতা ও বঞ্চনা নিরসন কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি প্রধান ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন।
কমিটি সচিব পদে ১১৯ জন, গ্রেড-১ (সচিব মর্যাদা) পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্মসচিব পদে ৭২ জন এবং উপসচিব পদে ৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি প্রদান করা যেতে পারে বলে সুপারিশে উল্লেখ করেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, 'আমি নিজেও বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নিরসন কমিটির একজন আবেদনকারী। আমাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে, এছাড়া আমি তো ওই কাতারেই। যখন ফাইনালি জিও হবে সেখানে আমার নামও থাকবে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের ঊর্ধ্বতন অফিস (প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়) থেকে আমাদের কাছে এটা (সুপারিশ প্রতিবেদন) পাঠিয়ে নির্দেশনা দিবে। একটা নির্দেশনা লাগবে, তবে সরকার পজিটিভ। আমি বলতে পারি, অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ে আমাদের লেভেলে একদিনে ওখানে যাবে, আমরা সেটা করব।'
'ওটা (সুপারিশ প্রতিবেদন) তো সিলগালা, আমাদের কাছে আসতে হবে। চাকরির কিছু বিধি-বিধান আছে, সেগুলো আমাদের মানতে হবে। সেগুলোর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটা সিস্টেম, এটা আমলাতন্ত্র তারপরও যেন হ্যাসেল না হয়। আমি আবারো বলছি একদিনের মধ্যে আমাদের মন্ত্রণালয় করে (সুপারিশ বাস্তবায়ন) দেবে।'
জনপ্রশাসন সচিব আরও বলেন, কমিটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে যারা পেয়েছে কী কারণে পেয়েছে, যারা পায়নি কী ও কেন পায়নি- তা উল্লেখ আছে।
কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৭৬৪ জনকেই পদোন্নতি দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তাদের মান-মর্যাদা দেওয়া হবে, ঠিক পদোন্নতি নয়। তাদের একটা পদ-পদবি দিয়ে জিও জারি করা হতো। সেই জিওর ভিত্তিতে হওয়া ফাইন্যান্সিয়াল জিও'র ভিত্তিতে তারা টাকা পাবে। সরকার এ বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত, কিছুটা সময় লাগবে। আমরা ১৬ বছর বঞ্চিত ছিলাম ১৬ দিনে তো এটা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'তাদের (বঞ্চিত কর্মকর্তা) পদোন্নতি হবে না, পদমর্যাদা দেওয়া হবে। তাকে ওই পদে পদমর্যাদা দিয়ে জিও জারি করা হবে, আর এই হিসাবটা করবে এজি অফিস। তাদের সাইন্টিফিক নিয়ম আছে। এরপর হবে ফাইন্যান্সিয়াল জিও।'
'সর্বশেষ যে বেনিফিট হবে, উনি শেষ কোন সিলিংয়ে গেলেন, ওইদিন থেকে ওই তারিখ থেকে তার পেনশন বেনিফিটটাও ওইভাবে হবে। মূল বেনিফিটটা তার পেনশনে হবে সারা জীবন।'