সকালের নাস্তায় যে ভুলগুলো আপনার বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলছে

সকালের খাবার আমাদের দিনের শক্তি ও মনোযোগের ভিত্তি তৈরি করে দেয়। কিন্তু অনেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিকে অবহেলা করেন। কেউ শুধু এক কাপ কফি খেয়ে দিন শুরু করেন, কেউ আবার একেবারেই সকালের খাবার খান না। তবে আপনি যদি বিপাক প্রক্রিয়াকে (মেটাবলিজম) সচল রাখতে চান, তবে কিছু সাধারণ ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. শুধুমাত্র কফিতে ভরসা করা
কফি সাময়িকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে পারে, কিন্তু শরীরের প্রয়োজন হয় পুষ্টিকর খাবারের। শুধু কফি খেলে রক্তে শর্করার ওঠানামা হয় এবং শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। কফির সঙ্গে প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো।
২. পেস্ট্রি-নির্ভর সকালের খাবার
মাফিন যেমন স্বাদে মজাদার, তেমনই এতে থাকা চিনি ও সাদা ময়দা রক্তে দ্রুত শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ক্ষুধা লাগে। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
৩. স্বাস্থ্যকর চর্বির অভাব
অনেকে চর্বিকে এড়িয়ে চলেন, কিন্তু বাদাম, অ্যাভোকাডো, চিয়া সিডস বা বাদামের মাখনের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
৪. অতিরিক্ত জুস পান
দোকানের কেনা ফ্রুট জুসে সাধারণত ফাইবার কম ও চিনি বেশি থাকে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে। সম্পূর্ণ ফল খাওয়া বা সামান্য জুসের সঙ্গে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো।
৫. প্রোটিনের ঘাটতি
শুধু শরীরচর্চা করা মানুষদের নয়, সকলের জন্যই প্রোটিন জরুরি। এটি হজমে সময় নেয় এবং ক্যালোরি পোড়ায় বেশি। ডিম, গ্রীক দই, বা চিয়া সিডস প্রোটিনের ভালো উৎস।
৬. "লো-ফ্যাট" ফাঁদে পড়া
অনেক লো-ফ্যাট খাবারে চর্বির বদলে চিনি বা কার্বোহাইড্রেট যোগ করা হয়। বরং প্রাকৃতিক চর্বি, ফাইবার ও প্রোটিনযুক্ত সম্পূর্ণ খাবার খাওয়া বেশি উপকারী।
৭. ফাইবার বাদ দেওয়া
ফাইবার হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা কমায়। ওটস, বেরি ফল বা সম্পূর্ণ শস্য জাতীয় খাবারে ফাইবার পাওয়া যায়।
সকালের খাবারে সামান্য পরিবর্তন এনে আপনি দিনভর নিজের শক্তি, মনোযোগ এবং বিপাকক্রিয়া সবকিছুকেই উন্নত করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Comments