চিকিৎসার গাফিলতিতে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চিকিৎসা গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভোরে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তার আগে গত দুই দিন ধরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল নয়ন।
নিহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর নাম আশরাফুর রহমান নয়ন (১৩)। সে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান সোহাগের একমাত্র ছেলে।
নিহত আশরাফুর রহমান নয়নের পিতার অভিযোগ, জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা গাফিলতির কারণেই তিনি তার একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছেন। নয়ন সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত নয়নের পিতা সোহাগ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'গত কয়েকদিন আগে গায়ে জ্বর হয় আমার ছেলের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু হয়েছে বলে জানায়। হাসপাতাল থেকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। তবে তারা বাড়িতে না নিয়ে বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আমার ছেলের মৃত্যু হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমার ছেলের চিকিৎসায় জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট গাফিলতি ছিল। যার কারণে আমি আমার বুকের ধনটাকে হারিয়ে ফেলি।'
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, 'আমার ছেলে জেনারেল হাসপাতালেই মারা গেছে। মারা যাওয়ার পরে আমার ছেলেকে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এরপর তাকে আমরা ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, রোগীর মৃত্যু অনেক আগে হয়েছে।'
জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মাইন উদ্দিন বলেন, 'রোগীর সিবিসি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) স্বাভাবিক ছিল। রাতে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা সাথে সাথে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি। কিন্তু রোগীর অভিভাবকরা রোগী নিয়ে যেতে দেরি করে ফেলায় সে পথেই মারা যায়।'
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মোঃ আলতাব হোসেন বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি এবং ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।'
Comments