শীতের শুষ্কতায় ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে করণীয়
শীতের কনকনে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হ্রাস করে। আর এ কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। তবে সঠিক যত্ন ও অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি শীতকালেও ত্বকের কোমলতা ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে পারেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদে বিউটি এক্সপার্টরা বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন। এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে শীতেও ত্বক কোমল থাকবে। ত্বকের যত্নে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
কুসুম গরম পানি: শীতকালে গরম পানিতে গোসল করা আরামদায়ক হলেও, এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। তাই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সেরামাইডস ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সেরামাইডস ত্বকের সুরক্ষা স্তর মজবুত করে এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বককে আর্দ্র ও পূর্ণ রাখে।
পর্যাপ্ত পানি পান: শীতকালে পিপাসা কম লাগলেও, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর পানি পান করা জরুরি। এটি ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র ও কোমল রাখতে সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার: ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্টযুক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম ত্বককে পরিবেশগত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের লিপিড স্তরকে সমর্থন করে, যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। মাছ, আখরোট, চিয়া বীজ ইত্যাদি খাবারে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: নারকেল তেল, জলপাই তেল বা মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কার্যকর। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে এগুলো প্রয়োগ করতে পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার: শীতকালেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখা: হিটার বা রুম হিটার ব্যবহারের ফলে ঘরের বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়, যা ত্বকের শুষ্কতা বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারেন।
এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করে শীতকালেও আপনার ত্বককে কোমল, আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখতে পারেন। নিয়মিত যত্ন ও সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
Comments