সিনহা হত্যা বিচার সম্মিলিত প্রতিবাদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

চাঞ্চল্যকর মেজর সিনহা হত্যার বিচার দেখার মধ্য দিয়ে প্রতীক্ষিত বক্ষ ভরা উদবেগ উৎকণ্ঠা সংশয়ের প্রহর শেষ হল। মেজর হত্যা বিচারের অনিশ্চয়তার অন্ধকার ভেদ করে সুবিচারের আলোর জ্যোতি ছড়িয়েছে। ৩১ জুলাই, ২০২০ সালে রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের একটি চেকপয়েন্টে লিয়াকত সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তার মৃত্যুর পর,পুলিশ বলেছে শামলাপুর চেকপয়েন্টে মেজর সিনহার গাড়ি তল্লাশিতে বাধা দেওয়ার পর সিনহা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দিকে পিস্তল তাক করলে তারা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। পুলিশের এই হত্যার পর অনেক চড়াই উৎরাই সংগ্রাম চলছে । বিচারিক আদালত খুনিদের ফাসির আদেশ দিয়েছে।
নিরীহ মেজর হত্যার ফাসির রায় হাই কোর্ট বহাল রেখে সাত কার্য দিবসের ভিতর ফাসি কার্যকরি করতে আদেশ দিয়েছে। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ্। সেই ২০২০ সালের ৩১ জুলাই সকাল বেলার একটা টেলিফোন আমাকে প্রতিবাদের মিছিলের বার্তা দিল। অপর পাশে মেজর জামান – 'হেই জিল্লুর কোথায় তুমি ? শুনেছ আমাদের মেজর সিনহাকে টেকনাফের ওসি হত্যা করেছে'। বলেন কি স্যার? হ্যা তুমি তাড়াতাড়ি রাওয়া ক্লাবে আসো। ছুটে গেলাম রাওয়া ক্লাবে। দেখি মেজর জামান স্যার অফিসে না বসে উদ্বিগ্ন হয়ে নীচে দন্ডায়োমান কাউকে অভ্যার্থনা জানাতে অপেক্ষায় দুজনের কথা হল। দুজন চেয়ারম্যান মেজর আফসার স্যারকে হত্যার খবর জানালাম। মেজর জামান প্রথম অফিসার যিনি হত্যার খবর পেয়েছেন ও অন্যদের খবর দিয়েছেন।
রাওয়া চেয়ারম্যান মেজর আফসার স্যার আমাকে একান্তে ডেকে ক্লোজ ডোর আলোচনা করেন। জানতে চাইলেন কি কি তথ্য আছে তোমার কাছে। আমি জানালাম সবে মাত্র মেজর জামান জানাল আমাকে,সত্য মিথ্যা বিস্তারিত কিছু জানি না। আমাদের সহকর্মী সকলে বিভিন্ন চ্যানেলে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার যোগাযোগ আছে সবার সাথে। বিস্তারিত কিছু পাইনি। স্যার বললেন, তুমি লেগে থাক আমাকে আপডেট জানাবা। ব্রিগেডিয়ার শরিফ আজিজ স্যার সকল বিপদে মুসিবদে আগে থাকেন এখানেও ব্যত্যয় ঘটেনি। সিনিয়র জেনারেল অনেককে দেখি ছুটে এসেছেন প্রায় যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে। অনেক তরুন অফিসার সকলকে সরব হতে উৎসাহিত করতে লাগল। মনে হল যুদ্ধের ডাক পড়েছে।
কোন পত্রিকা টেলিভিশন হত্যার নিউজ করছে না। রাওয়ার কমিটির সকলে অফিসে এল। স্যার সকল বাহিনীর সিনিয়র জেনারেলদের কল করলেন করনীয় ঠিক করতে। মিনি মিটিং এর ব্যবস্থা করলেন অফিসে। আমাকে বললেন তুমি অনেকদিন মিডিয়ায় কাজ করছ তোমার পরিচিত বন্ধু সাংবাদিক যারা আছে তাদের হত্যার নিউজ তুলে ধরতে তথ্য দাও উনাদের কাজে লাগাও । তখনও মেইন মিডিয়া সরকারের মনোভাব বুঝার জন্য মেজর সিনহা হত্যার গুরুত্ত দিয়ে সংবাদ প্রচার করছে না।
মনে হচ্ছে দিন যত যাচ্ছে ততো হত্যা কাণ্ড ধামা চাপা দেওয়ার তদবির উন্মোচিত হচ্ছিল। পরিস্থিতির প্রবাহ দেখে মনে হল পুলিশ,সরকা্র,ভিনদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এক জোট হয়ে নৃশংস হত্যা ঘটনা মাটিচাপা দিতে তৎপর ছিল।
সহকর্মীদের কানে সিনহা হত্যার খবর পৌছা মাত্র সকল সিনিয়র জুনিয়র অফিসার বাধভাঙ্গা জোয়ারের মত স্রোতের গতিতে রাওয়ায় সমাবেত হল। মুহুর্তে শুরু হলো বিক্ষোভ সমাবেশ। সকলের চেহারা অগ্নি,মুখে তেজি ভাষা সমস্বরে আওয়াজ তুলল আর চুপ থাকা যায় না। কেউ কেউ তখনি আবেগি হয়ে যেতে চাইল কক্সবাজার। রাওয়া চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক আমাকে মিডিয়া উদ্যোগী করাতে দায়িত্ব দিলেন। সকল সহকর্মি ঝাপিয়ে পড়ল বিচারের দাবীতে। উচ্চ মহল পর্যন্ত বার্তা দেওয়া হয়।
উত্তপ্ত ঐ মুহুর্তে আমি সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মর্তোজা (বর্তমানে ওয়াশিংটন দূতাবাসে কর্মরত), ইলিয়াস খা, চ্যানেল আইয়ের জিল্লুর রহমান, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা,নঈম নিজাম, সোহরাব হাসান,আশিক রহমান সকলকে আমার কাছে থাকা খবর দিয়ে এই নির্মম হত্যা জাতির সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করি। আমার কথা শুনে সবাই স্তম্ভিত হল। প্রশ্ন ঘুরপাক খেল একজন নিরাপরাধ মেজর হত্যা করল পুলিশ। এও সম্ভব ! পুলিশ এত আশকারা পায় কোথায়।
সরকার মেজর সিনহা হত্যা যাতে জাতীয় ইস্যু না হয় তার কৌশল নিয়েছিল। সরকারের মতিগতি না বুঝে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিল না। বিশেষ করে সাহসী সাংবাদিক মোর্তজা ভাই বললেন জিল্লুর ভাই কি সাংঘাতিক ! তিনি সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন। প্রথম দিক তিনিই নির্ভয়ে মুখ খোলা শুরু করলেন। তিনি বললেন প্রয়োজনে ধারাবাহিক অনুসন্ধনি রিপোর্ট করা দরকার হবে। একজন নিরীহ মেজরকে হত্যা করে হজম করলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
সিনহার বোন শারমিন ৫ আগস্ট,২০২০ তারিখে নয়জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বলেন এটি ছিল ঠান্ডা মাথায় খুন।
মিডিয়া খবর পরিবেশন করায় পুলিশের দেওয়া ঘটনার বিবরণ বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনী নিয়ে প্রতিবাদ ওঠার পর এবং পুলিশের বিরুদ্ধে 'বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের'বিরামহীন অভিযোগ পুনরায় উত্থাপিত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কোন মেইন মিডিয়া গুরুত্তের সাথে খবর তেমন প্রচার করছে না। রাতে মেজর আফসার সার আমার সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলতেন হত্যা কাণ্ড ইস্যু মিডিয়াতে জাগ্রত রাখার তাগিদে। উনি সকল অফিসারদের এখন থেকে রাওয়ায় অন্তত একবর আসার জন্য আহবান করলেন।
মেজর আফসার সার একজন অবিচল বীর যোদ্ধা। তিনি সহকর্মীর হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে সকল চ্যালেঞ্জের পথ ধরেছেন নির্ভিক হয়ে।
মিডিয়ায় সহকর্মি আমরা যারা তখন লিখতাম,টকশো করতাম সকলের সাথে কথা বলি। জেনারেল রশিদ,জেনারেল ইব্রাহী্ম,এয়ার কমোডোর ইসফাক এলাহি,মেজর আকতার,লে জে মইনুল প্রমুখ। জেনারেল ইব্রাহীম আমাকে বললেন তোমাদের সাথেই আছি আমাকে বেশী সামনে রাখলে সরকার নাখোস হবে। তোমরা প্রতিবাদি হয়ে এগিয়ে চল। নিখুত পরিকল্পনা করে বিচার দাবীর স্লোগান সামনে নিয়ে সরকারের উপর চাপ শুরু হল।
সশস্ত্র বাহিনীর মিডিয়া বাক্তিত্ত নিয়ে একটা মিডিয়া সেল গঠন করা হয় পরের দিন। পরিকল্পনা অনুযায়ি সাংবাদিক সম্মেলন করা হল। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং সেশন ফলো-আপ চলল। সশস্ত্রবাহিনির সকল সদস্য নিজ অবস্থান থেকে লড়াকু ভুমিকায় নামে।
জাতি সিনহা হত্যার আসল ঘটনা জানতে শুরু করল। মানুষখেকো ও সি প্রদীপ, লিয়াকত গং ঠান্ডা মাথায় একজন মেজরকে গুলি করে হত্যা করেছে জানার পর আমজনতা হত্যা কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে থাকে। সশস্ত্র বাহিনীর অফিসাররা ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে বিচার আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হল। রাওয়া ঘোষণা করে 'মেজর সিনহা হত্যার বিচার আদায় করে ছাড়ব আমরা'।
এস পি আল্লাহ বকস ও প্রদিপের মধ্যে টেলিফোন আলাপ ফাঁস হওয়ার পর রাওয়া চেয়ারম্যান মেজর আফসার আল্লাহ বকসের কাছে জানতে চান আপনি হত্যার ঘটনা চাপা দিতে বুদ্ধি দিচ্ছেন কেন। তিনি উত্তরে বলেন, আমি এত কিছু জানতাম না ভাই। সকল অপরাধের বিচার আমিও চাই। না জেনে কথা বলার জন্য দু:খিত।
কোন চাপে আন্দোলনরত অফিসারদের দমাতে পারেনি। সরকার সেনাবাহিনির এই প্রতিবাদী আন্দোলন বড় ধরণের বিপর্যয়ের অঙ্কুর ভেবে ভীত হয়ে পড়ে। ভয়ংকর পরিনতি এড়াতে সরকার অথর্ব সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে সামনে দিয়ে রাওয়ার নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে প্রশাসক নিয়োগ দেয় প্রতিবাদ বানচাল করতে। তাতে অফিসাররা আরও ক্ষিপ্ত হলো।
প্রতিবাদ জানাতে কর্নেল চৌধুরি স্যার বিদ্রোহি হয়ে এক হোটেলে মিটিং ডাকলেন। জেনারেল আজিজ বিচার চাওয়ার বদলে সরকারকে তোয়াজ করে চলতেন। তার কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হয় তিনি পুলিশের পক্ষ নিয়ে কক্সবাজার হাজিরা দিয়েছেন সরকারের উকালাতি করতে ।
জেনারেল আজিজের ভুমিকায় সকল অফিসার তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল গালমন্দ করত। বাহিনীতে পিট বাঁচানর জন্য আই জির সাথে কক্সবাজার হাজিরা দিয়েছে। বেনজিরের সাথে একই মঞ্চে কথা বলেছন। দৃষ্টিকটু ছিল বেনজিরের ঔধ্যত্ব। তার ছড়ি ঘরিনো দেখে মনে হচ্ছিল মাস্তান গুন্ডা গুন্ডামি করছে সেনা বাহিনীর সভাস্থলে। আর জেনারেল আজিজের হালচাল দেখে মনে হল তিনি বেনজিরের অধীনস্থ কর্মচারি। সেনাপ্রধান আই জির মর্জিতে অবৈধ সুযোগ নিচ্ছে তাই নিশ্চুপ মলিন চেহারায় অনুগত বান্দার ভুমিকায় ছিল। জে আজিজ ঐদিন সেনাবাহিনির গৌরব খর্ব করে ঘৃণিত উপাধি অর্জন করেছিলেন। ।
আমি কর্নেল ফারুক খানের সাথে কথা বলি তাকে জানাই সেনাবাহিনির মধ্যে হত্যা কান্ড নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। তিনি আমাকে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ কামাল কে বলেছি নিরপেক্ষ তদন্ত যেন হয়। আমি ১৯৭৫ সালে এই আর্মিতে ছিলাম সব চোখের সামনে দেখেছি এই বাহিনীর সেন্টিমেন্ট বুঝতে হবে। পক্ষপাতিক তদন্ত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।
সাংবাদিকরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে শুরু করল। মেজর সিনহার বাড়িতে নিয়মিত অফিসার টিম ভিজিট করত। পরিবারের মা বোনের পাশে লৌহ প্রাচীরের মত সহকর্মিরা অবস্থান নিল। সিনহার পরিবারকে বুঝল তারা অসহায় না সেনাবাহিনী আইনি লড়াইয়ে তাদের পাশে আছে। মাকে আশার কথা জোরালভাবে বলা হল আমরা সকলেই আপনার এক একজন সিনহা। তার হত্যার বিচার আমরা করবই।
অবশেষে টেকনাফ থানার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস এবং বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গত সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালত কক্ষে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার রাওয়া একদল অফিসার পাঠাল মিলাদ পড়াতে দোয়া করতে। সর্বদা মামলার পিছনে লেগেছিল নিবেদিত প্রান সব সহকর্মিরা। গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে লে কর্নেল নওরোজ সার খাওয়ার টেবিলে হাজার কথার ভিতরে বললেন,কাল হাই কোর্ট যাব এটর্নি জেনারেলের সাথে সাক্ষাত করতে। সিনহার হত্যার রায় দ্রুত তারিখ ফেলে কার্যকর করতে হবে। মেজর সিনহার রায়ের সময় তার সহকর্মীরা তাকে সম্মান দেখাতে দল বেঁধে হাইকোর্টে লাইন দিয়ে হাজির হয়েছেন অফিস ঘর সংসার কাজ ফেলে। সামরিক জীবনের এখানেই পরম প্রাপ্তি।
দেশপ্রেমিক সৈনিক যুদ্ধে শাহাদত বরনের মুহুর্তে ওছিয়ত করে যায়। আমার শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই করে মারা যাচ্ছি । ও আমার সাথীরা মাতৃভূমিতে শত্রু যেন আমার রক্তের উপর দিয়ে প্রবেশ না করে। ও আমার সহ যোদ্ধারা তোমাদের জিম্মায় রেখে গেলাম এই মাতৃভুমি। মেজর সিনহা ঠিক এমন নিখাদ অসিয়ত কি তার সহকর্মিদের করে গেল? সহকর্মীরা যুদ্ধ চালাল বিচারের জন্য। ওসি প্রদীপের ফাঁসির আদেশ সুপ্রিম কোর্টে বহাল রাখল। আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য আদালত।
আলহামদুলিল্লাহ! প্রিয় মেজর সিনহা,আল্লাহ তোমাকে জান্নাত নসীব করুন। আমীন। আজ তোমার সহকর্মিরা তৃপ্ত প্রতিকুলে লড়াই করে কেউ ক্লান্ত হয়নি। অর্থের জন্য পিছে তাকায়নি। দুঃসাহসী যুদ্ধারমত ক্ষিপ্রতার সাথে ব্যাটেল ক্রাই আওয়াজ তুলে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রভাত রক্তিম সুর্যের উকি ঝুকি আমরা দেখছি। তুমি কি দেখছ তোমার নিথর মৃতদেহ ফেলে সহকর্মি কেউ রনাঙ্গন ত্যাগ করিনি। ভবিষ্যতেও কোন সহকর্মির পবিত্র দেহ যুদ্ধ ময়দানে ফেলে রাখবেনা। সিংহের মত দল বেঁধে পাহারা দিব যেন শত্রু স্পর্শ করতে না পারে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ, চট্টলা, উখিয়া, হিমছড়ি পর্যন্ত উকিল ব্যরেস্টার এটর্নি জেনারেল,বিচারক,জজ কোর্ট,হাইকোর্ট সব খানেই তোমার সহযোদ্ধারা উল্কারমত ছুটেছে শুধু তোমার হত্যার বিচার করতে। খুনি প্রদীপ লিয়াকতের এই শাস্তি সমাজে একটি স্পষ্ট বার্তা দেবে অপরাধের সাজা হবেই। অপরাধের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ তুলে শক্তিধর অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়। সিনহা হত্যা বিচার সকল শ্রেনির পেশার মানুষের প্রতিবাদের ফসল হয়ে ইতিহাসে লেখা থাকবে। সহকর্মীদের জীবনপণ লড়াই মমতাবোধ সহানুভূতি অম্লান হয়ে থাকবে।
সিনহা হত্যার শুরু থেকে আজবদি রাওয়ায়র সাহসী নেতৃত্ব নিয়ে আমার বিখ্যাত মিলিটারি লিডারের অসাধারণ গুনাবলির কথা মনে পড়ে। " A true leader has the confidence to stand alone, the courage to make tough decisions, and the compassion to listen to the needs of others. He does not set out to be a leader, but becomes one by the equality of his actions and the integrity of his intent."
রাওয়ার আদাজল খেয়ে বিচারের দাবিতে অবিচল সংগ্রাম চালিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন চিরদিন অনুপ্রেরণার ইতিহাসে লাইট হাউজ হয়ে থাকবে।
মেজর (অব) জিল্লুর রহমান : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Comments