মালয়েশিয়ায় গিয়ে স্বপ্ন পূরণের পরিবর্তে, দুঃস্বপ্ন নিয়ে ফিরছেন হারুন

কোম্পানিতে কর্মরত, বিদেশি কর্মীদের উপরে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশী যুবককে, অন্যায় ভাবে চাকরিচুত্য করা হয় হারুন নামে এক বাংলাদেশি যুবককে। আবার প্রত্যাবাসন কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধন না করে জোরপূর্বক দেশে পাঠানো হচ্ছে তাকে। এমন অভিযোগে এনে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বুকিত বিন্তাং এক রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশী কর্মী হারুন।
১৮ মার্চ এ সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন। ভুক্তভোগী এই অভিবাসী কর্মী হারুন পরিবারের স্বচ্ছতার আশায় ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলিং এসে পাম বাগানে কাজ নেন। ২০২৩ সালে নিয়োগ কর্তা তার ভিসা নবায়নে ব্যর্থ হন।
ভুক্তভোগী হারুনের দাবি, তাকে অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়, ভিসা নবায়নের বিষয় জানতে চাইলে কোম্পানি তাকে বার বার মিথ্যা তথ্য দেয়। তবুও হারন থেমে থাকে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন, মালয়েশিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার ও শ্রম সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে। এ সব জানতে পেরে কোম্পানি ২০২৪ সালের নভেম্বর তার নিয়োগকর্তা সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, কিছু না জানিয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রত্যাবর্তন কর্মসূচিতে তার নাম নিবন্ধন করে। এই কর্মসূচিটি মূলত নথিবিহীন অভিবাসীদের স্বইচ্ছায় দেশে ফেরার কর্মসূচি।

এর মধ্যে হারুন তার নিয়োগকর্তার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে, দেশটির শিল্প আদালতের শরণাপন্ন হন। যেখানে ২৪ মার্চ শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে। শুক্রবার(২১ মার্চ) হারুনের মালয়েশিয়া ছাড়ার কথা ছিল, তবে আদালতের শুনানির জন্য হারুনকে অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায়, বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুর যোগাযোগ করলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে দূতাবাস নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, নিয়োগ কর্তা জানান, হারুনের সঙ্গে হওয়া চুক্তি আর নবায়ন করতে চান না তারা। তবে হারুন দূতাবাসের শ্রম উইং এর এক কর্মকতার বিরুদ্ধে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ আনেন।
হারুন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম ও মানবাধিকার সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করেন, যদিও তাতে তেমন কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি। আবার নিজ দূতাবাসের কাছে সহযোগিতা চেয়ে অপমানিত হন এই প্রবাসী। এমন অবস্থায় হতাশ হয়ে হারুন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। হারুন এর কাছে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, তিনি জানান কোন ক্ষতিপূরণ চান না, তার প্রশ্ন তিনি বৈধ হয়ে মালয়েশিয়া এসেছেন, কেন অবৈধ হয়ে ফিরে যাবেন?
Comments