মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার ২ বাংলাদেশী নারী উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় যৌন নিপড়নের শিকার হওয়া দুই বাংলাদেশী নারীকে উদ্ধার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া দুই নারীর বয়স ৩০ ও ৩৪ বছর। স্থানীয় মঙ্গলবার ( ১৯ নভেম্বর) অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতি এ তথ্য জানানো হয়।
মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার আড়াইটার দিকে কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
পুত্রাজার ইমিগ্রেশন এর হেডকোয়ার্টারে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশন বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি দল এ বিশেষ অভিযানে অংশ নেন।
বিশেষ অভিযানে দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধারসহ দুইজন পুরুষকে গ্রেপ্তার হয়, যাদের বয়স ৩০ ও ৩৯ বছর। গ্রেফতার ২ বাংলাদেশী পুরুষকে মূল সিন্ডিকেট সদস্য মনে করা হচ্ছে, এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৫০ বছর বয়সী এক গ্রাহককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রাহক একজন বাংলাদেশী নাগরিক।
তবে উদ্ধার হওয়া দুইজন নারী ও গ্রেফতার হওয়া তিনজন বাংলাদেশী নাগরিকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিবৃতিতে শুধুমাত্র তাদের বয়স প্রকাশ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় অভিবাসন বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশী নারীদের বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় আসা নারীদের ২০০০ রিংগিতের বেতনের কথা বলে আনা হয়। পরবর্তীতে তাদের কোন কাজ না দিয়ে বিনা বেতনে যৌনদাসীতে পরিণত করা হয়।
উদ্ধার দুই নারীর কাছ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন দেশের খদ্দেরদের সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সেবা দিতে তাদের বাধ্য করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ না করলে তাদেরকে খাদ্য দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করা হয়।
মালয়েশিয়াতে টুরিস্ট ভিসা সহজ হওয়া, বাংলাদেশের কিছু অসাধু দালাল চক্র নারীদের পাচার করে মালয়েশিয়াতে বিক্রি করে দেয়।
মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নারীদের যৌন কাজের সাথে জড়িত বিষয় বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ইভেন্ট বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইনভাইটেশনে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী অনেকে নিজের ইচ্ছায় ও অনেকে অনিচ্ছায় যৌন কাজে জড়িয়ে পড়ে।
এমন অপীতিকর ঘটনায় মালয়েশিয়াতে অধ্যয়নরত হাজার শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেশি পেশার নারীরা লজ্জা ও বিড়ম্বনার শিকার হন।
দেশটির অভিবাসন বিভাগ বলছে যারা মানব পাচারকারী অভিবাসীদের চালানবিরোধী আইন লংঘন করে এসব কাজ করে, দেশটির মানব পাচার আইন অনুযায়ী ( এটিআইপিএসওএম)২০০৭ ( অ্যাক্ট ৬৭০) অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তাদের বিরুদ্ধে সারা বছরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।